চট্টগ্রাম টেস্টে রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। গেল দুই দিনে ১৪৪ ওভারের বেশি ফিল্ডিং করা বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে দেখল চরম বিপর্যয়। যে উইকেটে প্রোটিয়ারা করেছে সাবলীল ব্যাটিং, সেখানেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা করেছে অসহায় আত্মসমর্পণ। দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তাতে ৫৩৭ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।
৫৭৫ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ঘোষণা করলে শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যেন দিশেহারা। দিনের খেলা সমাপ্ত হওয়ার আগে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ৩৮ রান। মুমিনুল হক ৬*, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
ওপেনার সাদমান ইসলাম হয়েছেন ডাক। শুরুর ওভারেই উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার গ্লাভসে সাদমানকে ক্যাচ বানান টেস্টের নতুন নাম্বার ওয়ান বোলার কাগিসো রাবাদা। এরপর জাকির হাসানকেও ঠিক একই ভাবে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রাবাদা। তিনে নামা জাকির হাসান ২ রানের বেশি করতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট শেষে ঢাকা থেকে সিলেট গিয়ে খেলেছেন এনসিএলের ম্যাচ। তবে চার দিনের ম্যাচ শেষ হয়ে যায় আড়াই দিনেই। জাকিরও তাই ম্যাচ শেষ করে জাতীয় দলে যোগ দিতে রওনা হয়ে যান। সেদিনই চট্টগ্রামে উড়ে এসে পরদিন সকালে ফিল্ডিংয়ে নামেন জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্টে। আজ ব্যাট করতে নেমে ৮ বল খেলতেই উইকেট হারান জাকির।
থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ২১ বলে ১০ রানে থাকা জয় শিকার হলেন ড্যান প্যাটারসনের। ২৯ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে পাঠায় হাসান মাহমুদকে। তবে কেশব মহারাজের স্পিন ঘূর্ণি সামলাতে ব্যর্থ হন হাসান। বলের লাইন মিস করে ব্যক্তিগত ৩ রানে বোল্ড হাসান মাহমুদ। দলীয় ৩২ রানে বাংলাদেশ হারায় ৪র্থ উইকেট।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। শান্ত ৬ বলে ৪ ও মুমিনুল ১০ বলে ৬ রানে অপরাজিত আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাগিসো রাবাদা নেন ২টি উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।