দিল্লির ৩৪ ডিগ্রী তাপমাত্রা শরীরের সব পানি নিঃশ্বেষ করার মতো। ওই কন্ডিশনে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট পেয়েও টস জিতে ফিল্ডিং খাটুনির পর ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাশুন শানাকা। যে সিদ্ধান্তের ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে তার দল। দক্ষিণ আফ্রিকা বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তিন সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান তোলে। জবাব দেওয়া লঙ্কানদের ৩২৬ রানে অলআউট করেছে। নির্মমভাবে হারিয়েছে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে।
শনিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার টেম্বা বাভুমা (৮) শুরুতে ফিরে যান। এরপর কুইন্টন ডি কক ও তিনে নামা রেসি ফন ডার ডুসন ২০৪ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটি ভাঙে ডি কক ৮৪ বলে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কার শটে ১০০ রান করে ফিরলে। এরপর ডুসন ১১২ বলে ১০৮ রান করে আউট হন। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও দুটি ছক্কা।
জোড়া সেঞ্চুরিতে দলকে বড় রানের পথে তুলে নেন ডি কক-ডুসন। ওই পথ ধরে চারে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন এইডেন মার্করাম। বিশ্বকাপে ৪৯ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে তিনি থামেন ৫৪ বলে ১০৬ রান করে। তার ব্যাট থেকে ১৪টি চারের সঙ্গে ছয়টি ছক্কার শট আসে। এছাড়া রেজা হেনরিকস ২০ বলে ৩২ ও ডেভিড মিলার ২১ বলে ৩৯ রানের ঝড় দেখান।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত ওই ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে (পূর্বে ৪১৭ রান) সর্বোচ্চ রান তোলে। বিশ্বকাপে প্রথমবার এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি দেখায়। সঙ্গে এবি ডি ভিলিয়ার্সের বিশ্বকাপে ৫২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড মার্করাম (৪৯ বলে) দখল করে নেন।
জবাব দিতে নামা শ্রীলঙ্কাও শুরুতে উইকেট হারায়। পাথুন নিশাঙ্কা শূন্য করে ফিরে যান। এরপর কুশল মেন্ডিস ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। তিনি ফিরে যান ৪২ বলে আটটি ছক্কা ও চারটি চারে ৭৬ রান করে। এরপর চারিথা আশালঙ্কা ৬৫ বলে ৭৮ রান করেন। দাশুন শানাকার ৬২ বলে ৬৮ রান এবং কাশুন রাজিথার ৩৩ রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।