ঢাকাFriday , 3 November 2023
  1. online casino
  2. online casino lebanon
  3. philippines online casino
  4. slovenian online casino
  5. world cup cricket t20
  6. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  7. অ্যাথলেটিক
  8. আইপিএল
  9. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আরচারি
  12. এশিয়া কাপ
  13. এশিয়ান গেমস
  14. এসএ গেমস
  15. কমন ওয়েলথ গেমস

প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের পেসাররা

Sahab Uddin
November 3, 2023 11:43 pm
Link Copied!

‘তাসকিন, মোস্তাফিজ, শরিফুল আর হাসান মাহমুদ সবাই গড়পড়তা ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়তে পারেন। অ্যালান ডোনাল্ডের পরিচর্যায় প্রত্যেকের বলের কারুকাজ আর বৈচিত্র্যও বেড়েছে। তারা বেশ ভালো ‘শেইপে’ আছেন। বিশ্বের দক্ষ কোনো ব্যাটিং শক্তির মোকাবিলায় সক্ষম। ম্যাচ জেতানোর অ্যাবিলিটিও হয়েছে।’

খোদ হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বিশ্বকাপের আগে পেসারদের নিয়ে এমন প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছিলেন। সে সব শুনে মনে হয়েছিল, সত্যিই বাংলাদেশের পেস ডিপার্টমেন্ট আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে উন্নত।

যদিও ভারতের বেশির ভাগ পিচই ব্যাটিং সহায়ক, তারপরও ভক্ত-সমর্থকরা আশায় ছিলেন, নিজ দলের পেসারদের কাছ থেকে কিছু বারুদে স্পেল দেখার। তাদের ধারণা ছিল, নতুন বলে তাসকিন, শরিফুল, মোস্তাফিজরা ব্রেকথ্রু এনে দিবেন নিয়মিত। সুযোগ পেলে হাসান মাহমুদও বিষাক্ত সুইংয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ঘায়েল করবেন। ‘স্লগ’ বা ‘ডেথ’ ওভারে খুব ভাল জায়গায় বল ফেলে আর ইয়র্কার ছুঁড়ে বিপক্ষের ব্যাটারদের হাত খুলে বড় শট নেয়া থেকে বিরত রাখতে পারবেন।

কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। বাস্তবে তার ছিঁটেফোটাও দেখা যায়নি। বাড়তি কিছু করা বহুদূরে, বাংলাদেশের পেসাররা মাঠে নেমে সে অর্থে কিছুই করতে পারেননি। বোঝাই গেছে, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তাসকিন, শরিফুল, মোস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদরা তাদের করণীয় কাজ কী, সেটিই ঠিক ঠাউরে উঠতে পারেননি। কখন ঠিক কোন লাইন ও লেন্থে বল করতে হবে, তা বুঝতে না পারায় সাফল্য নেই বাংলাদেশের পেসারদের।

কিন্তু তাসকিন, মোস্তাফিজ আর হাসান মাহমুদের অবস্থা বেশ খারাপ। তাসকিন আর মোস্তাফিজ বেধড়ক মার না খেলেও উইকেট পাননি তেমন। আর হাসান মাহমুদ রান দিয়েছেন প্রচুর। তাসকিন ৫ ম্যাচে পেয়েছেন ৪ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২/৪৩। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৫.৮৫।

আর ‘কাটারমাস্টার’ খ্যাত মোস্তাফিজও সমান ৪ উইকেট শিকারি (৭ ম্যাচে)। সেরা বোলিং ২/৩৬। ওভার পিছু রান দিয়েছেন ৫.৭৫ করে। এছাড়া হাসান মাহমুদ দুই ম্যাচে ৩ উইকেট পেলেও (সেরা বোলিং ২/৬৭) অকাতরে রান দিয়েছেন। তার বোলিংয়ে ওভার পিছু ৯.৪২ রান উঠেছে।

মোদ্দা কথা, পেস বোলারদের নিয়ে যে প্রত্যাশাটা ছিল, তা মেটেনি। অথচ পুরো টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশ দল পেস বোলারদের ওপর যথেষ্ট নির্ভর করেই একাদশ সাজিয়েছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই নতুন বলটি পেসারদের হাতেই তুলে দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।