ঘরোয়া ক্রিকেটের ধারাবাহিক পারফরমেন্সের পুরস্কার পেলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। নিয়মিত পারফর্ম করে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সফরের আয়ারল্যান্ড সিরিজ দলে ডাক পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ-ডিপিএলে খেলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে।
এরই মধ্যে ৭ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। সেরা বোলিং ৩১ রানে ৩ উইকেট। সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলে ১১ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। এর আগের বিপিএলে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করার পর থেকেই আলোচনায় তিনি। তাছাড়া ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। তবে ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্টটিতে খেলা হয়নি তার। তাকে মাঠে ফেরাতে অস্ট্রেলিয়াতে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিল বিসিবি। ফিরে নিয়মিত পারফর্ম করে বিসিবির আস্থার প্রতিদানও দিয়ে চলেছেন মৃত্যুঞ্জয়।
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি জানান, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পেলে সবারই ভালো লাগে, আমারও ভালো লাগছে। এতদিনের পরিশ্রমের সুফল পেলাম।’
সবশেষ কয়েক বছরে দারুণভাবে উন্নতি করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। একটা সময় ভালো করতে কেবলই স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো অধিনায়কদের। তবে সেই সময়টা বদলে গেছে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ আর এবাদত হোসেনদের উন্নতি। যাতে পেস ইউনিটে বেড়েছে প্রতিযোগিতা। বর্তমানে পেস ইউনিট থেকে বাদ পড়লে সেখানে আবারও ফেরা বেশ কঠিন। এমন প্রতিযোগিতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন মৃত্যুঞ্জয়। তিনি বলেন, ‘সহজ সময়ে তো যে কেউ দলে ঢুকতে পারে। কঠিন (পেসারদের প্রতিযোগিতার) সময়ে জায়গা পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করা এটা কঠিন বিষয়। আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নেব। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে যদি প্রমাণ করতে পারি তাহলে সহজ পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রমাণ করা আরও সহজ হবে।’
ছোটবেলায় মৃত্যুঞ্জয়ের ক্রিকেটে হাতেখড়ি বাবার হাত ধরে। এরপর ২০১০ সাল থেকে ক্রিকেট বলে অনুশীলন শুরু। ধাপে ধাপে মৃত্যুঞ্জয় খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও। অবশেষে জাতীয় দলের আঙিনায় পৌঁছে গেছেন তিনি। ছোট থেকে পরিচর্যার জন্য বিসিবির প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই পেসার।
তিনি বলেন, ‘শুরু বলতে গেলে ছোটোবেলা থেকেই আমার আব্বুর ইচ্ছে ছিল আমাকে ক্রিকেটার বানাবে। সেভাবেই আমাকে তৈরি করেছেন। ২০১০ সাল থেকে আমি ক্রিকেট বলে অনুশীলন করি। এভাবেই ধীরে ধীরে উঠে আসা। এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছি। এরপর বিপিএলে পারফর্ম করেছি। আমি বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন আমি ইনজুরিতে পড়েছিলাম। তারা আমাকে অস্ট্রেলিয়াতে পাঠিয়েছিল চিকিৎসার জন্য। এরপরও তারা আমাকে নিয়মিত পরিচর্যা করেছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।