টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও কোনো পাত্তা পেল না বাংলাদেশ। গোয়ালিয়রের ব্যাটিং উইকেটে ভারতকে কেবল ১২৮ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচটা মূলত সেখানেই হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও দাপট দেখিয়ে সিরিজে লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কেবল ১২৭ রান করে টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে ৪৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। ১১ ওভার ৫ বলে মাত্র ৩ উইকেট হারায় তারা। দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং সাঞ্জু স্যামসন ২ ওভারেই তুলেন ২৬ রান। ৭ বলে ১৬ রান করে রান আউটের ফাঁদে পরে সাজঘরে ফিরেন অভিষেক শর্মা। এরপর স্যামসনের সাথে যোগ দেন অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে বিদায় নেন ভারতীয় অধিনায়ক। ভারতের অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলের ৮০ রানের মাথাতে বিদায় নিয়েছেন টিকে থাকা ওপেনার স্যামসন। ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলা স্যামসনকে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্যামসনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং নিতিশ কুমার রেডি। ভারতের মারকুটে ব্যাটারদেরকে কোনোভাবেই থামাতে পারছিলেন না টাইগার বোলাররা।
১৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক। রেডি অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে ১৬ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারেই লিটন দাসের উইকেট হারায়। এরপরের গল্পটা শুধু আসা-যাওয়ার। মাঝে কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। আর্শদীপ সিংয়ের লেংথ ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপ এবং থার্ডম্যানের মাঝ দিয়ে চার মেরে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস। এরপরের বলেই বিদায় নেন এলকেডি। অর্শদীপের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারি অন সাইডে বড় শটের চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন লিটন। উইকেটের কাছ থেকেই ক্যাচ নেন রিঙ্কু সিং। তাতে এক চারেই শেষ হয়ে থাকল লিটনের ইনিংস। নিজের ফেরার ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার লেগ স্টাম্পে করা ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন ইমন। তবে বাঁহাতি ওপেনারকে টিকতে দিলেন না অর্শদীপ। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হতে হয়েছে ইমনকে। ৯ বলে ৮ রান করেছেন বছর দুয়েক পর ফেরার ম্যাচে। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলীয় ৪০ রানে ফের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৮ বলে ১২ রান করে আউট হন হৃদয়। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২ বলে ১ ও জাকের আলি ৬ বলে ৮ রান করে আউট হন।
মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ৭৫ রানে ২৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে এসে এক ছক্কা ও এক চারে ৫ বলে ১১ রান করে ফিরে যান রিশাদ হোসেন।
এরপর তাসকিন আহমেদ ও মিরাজের ব্যাটে একশো পেরোয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১১৬ রানে ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হন তাসকিন। শেষ ব্যাটার হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান আউট হলে পর্যন্ত ১৯ ওভার ৫ বলে ১২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ভারতের পক্ষে ভরুণ চক্রবর্তী ও আর্শদীপ সিং নেন ৩টি উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।