ঢাকাWednesday , 4 September 2024
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়, বিশ্বাস করা কঠিন: বিসিবি সভাপতি

Sahab Uddin
September 4, 2024 12:02 am
Link Copied!

ফারুক আহমেদ নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। বিসিবি সভাপতি হিসেবে দারুণ অভিষেক হলো জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচকের। ফারুক আহমেদ দেশের ক্রিকেটের অভিভাবকের গুরু দায়িত্ব কাঁধে পাওয়ার পর পাকিস্তান সফরে টিম বাংলাদেশ পেলো অবিস্মরণীয় সাফল্য। ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করলো স্বাগতিকদের।

সেই ১৫ বছর আগে তারকা ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমারবিহীন নাম সর্বস্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর টেস্টে এবারই প্রথম দেশের বাইরে ক্রিকেটের কোন পরাশক্তিকে টেস্টে ‘বাংলাওয়াশ’ করলো বাংলাদেশ জাতীয় দল।

ফারুক বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে নাজমুল হোসেন শান্তর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্টে টিম পারফরমেন্সের অনুপম প্রদর্শনীতে চরমভাবে পর্যদুস্ত করলো স্বাগতিকদের।

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ের পর একই শহরের একই মাঠে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খাদের কিনারায় পড়েও লড়াই-সংগ্রামের নতুন নজির স্থাপন করে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটের জয়ে মাঠ ছাড়লেন সাদমান, জাকির, শান্ত, মুশফিক, সাকিব, লিটন, মিরাজ, তাসকিন, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানারা।

তাতেই ২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম কোন পূর্ণশক্তির প্রতিষ্ঠিত দলকে চরমভাবে পর্যদুস্ত করার রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।
২১ আগস্ট বিসিবি সভাপতির চেয়ারে বসার পর দু’সপ্তাহ না যেতেই জাতীয় দলের এমন ঐতিহাসিক ও উদ্ভাসিত সাফল্য- এর চেয়ে ভাললাগার আর কি হতে পারে?

কেমন বোধ করছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ? তার প্রতিক্রিয়া কী? মূলতঃ ফারুক আহমেদ এখন দেশের বাইরে; দুবাইতে। সেখান থেকেইমুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দারুন। দুর্দান্ত- যাই বলুন না কেন কম বলা হবে। সত্যিই অবিস্মরণীয় বিজয়। বিশ্বাস করা কঠিন। আমাদের টেস্টে যে ট্র্যাক রেকর্ড, তাতে এমন সাফল্য রীতিমত অবিশ্বাস্য।’

‘প্রথম টেস্ট জয়ের পরই বলেছিলাম আমরা এত ভাল ক্রিকেট টেস্টে কবে খেলেছি, মনে করতে পারছিনা। পুরো দল একটা ইউনিট হিসেবে খেলেছে।’

‘আর প্রথম টেস্টের পর শেষ টেস্টে যেটা হলো, সেটা আরও দারুন। লড়াই করা এক জয়। একদম তলানিতে পড়ে গিয়েও হতোদ্যম না হয়ে লড়াই – সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো এবং শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়া। দেখে যেটা হলো যে, আমরা এখন টেস্ট জেতার অভ্যাস তৈরি করতে শিখেছি। প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। যা দেখে অবশ্যই আমি যার পরনাই খুশি। দারুন ভাল লাগছে। অন্যরকম ভাললাগার পরশ জেগেছে ভেতরে। আমি সত্যিই খুব খুশি। ছেলেদের অভিনন্দন। বুক ভরা ভালবাসা। তবে আমি চাই আমাদের এই পারফরমেন্সটা এমনই থাকুক। যে সাফল্য ধরা দিয়েছে, ছেলেরা যে সাফল্য অর্জন করেছে, সেটা যেন আগামীতেও ধরে রাখতে পারে, সেই কামনাই থাকলো।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।