টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে দ্বিতীয়বারের মতো হারানোর দারুণ এক সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। কিন্তু ব্যাটারদের কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে বলতে গেলে জেতা ম্যাচ হেরে বসেছে পাকিস্তান। বাবর আজমের দলকে ৬ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ আমিরদের তোপে মাত্র ১১৯ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। এরপর ভারতীয় বোলারদের পাল্টা আক্রমণে ৭ উইকেটে ১১৩ রানে আটকে গেছে পাকিস্তান।
রোববার ভারতের দেয়া ১২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১১৩ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। তাতে ৬ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রোহিত শর্মার দল।
নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই রানটাই চ্যালেঞ্জিং পাকিস্তানের জন্য। কারণ চলতি বিশ্বকাপে এই মাঠে অল্প রান তাড়া করতে নেমে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়ে। শনিবার (৮ জুন) এই মাঠেই মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। ডাচদের দেয়া ১০৪ রানের লক্ষ্যও তাড়া করতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। ফলে ভারতের ১১৯ রান পাকিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জিং-ই বলা যায়।
আজ রোববার নাসাউ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরি করে। এরপর টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারত মাত্র ১ ওভার ব্যাট করতে পারে। আবার শুরু হয় বৃষ্টি।
২৫ মিনিট অপেক্ষার পর ফের খেলা শুরু হয়। মাঠে নেমেই আউট হয়ে যান বিরাট কোহলি (৪ বলে ৩)। নাসিম শাহের বলে উসমান খানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। পরের ওভারে রোহিত শর্মাকেও সাজঘরের পথ দেখান শাহিন শাহ আফ্রিদি। হারিস রউফের তালুবন্দি হন ভারতীয় অধিনায়ক।
এরপর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি করে রিশভ পান্ত। প্যাটেল ১৮ বলে ২০ রান করে নাসিম শাহের বলে বোল্ড হয়ে গেলে জুটি ভাঙে। পরে ৩১ রানের আরও একটি জুটি করেন পান্ত ও সূর্যকুমার যাদব। সূর্যকে ৭ রানের (৮ বলে) বেশি করতে দেননি হারিস রউফ।
এরপর বাকি ক্রিকেটাররা মূলত আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। দলীয় ৬ রান যোগ না হতেই উইকেট বিলিয়ে দেন শিবম দুবে (৯ বলে ৩)। নাসিম শাহকে ফলোথ্রু করেন তিনি।
একপ্রান্ত ধরে রেখে যিনি ভারতকে ১০০ রানের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন সেই পান্তকেও শেষ পর্য্ন্ত ফিরতে হয় ফিফটির আগেই (৩১ বলে ৪২)। আমিরের বলে বাবরের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
পরের বলেই রবীন্দ্র জাদেজাকে (১ বলে ০) আউট করেন আমির। ইমাদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ হন তিনি। অর্থাৎ ৯৬ রানেই ৭ উইকেট হারায় ভারত।
হার্দিক পান্ডিয়াকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান হারিস রউফ। ডানহাতি এই পেসারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লেগসাইড বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করা ইফতেখার আহমেদের হাতে ধরা পড়েন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
পরের বলেই জাসপ্রিত বুমরাহকে আউট করেন হারিস। তিনিও ইমাদের হাতেই ধরা দেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে অর্শদীপ সিং হন রানআউট। এতে ভারতীয়দের ইনিংস থামে ১১৯ রানে।
তিনটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। ২টি উইকে শিকার করেন মোহাম্মদ আমির। আর ১টি উইকেট নিজের পাশে লেখান শাহিন আফ্রিদি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।