ফুটবলের পাশাপাশি এক সময় ক্রিকেটেও বড় দল ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আতহার আলী খান, নুরুল আবেদিন নোবেল, জাহিদ রাজ্জাক মাসুম, হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাহমুদ সুজন, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ-এর মত জাতীয় দলের একঝাঁক নামি ও দামি ক্রিকেটার খেলেছেন গোপিবাগের এ ক্লাবটিতে।
লড়াকু দল হিসেবে ব্রাদার্সের ছিল বেশ সুনাম; কিন্তু ব্রাদার্সের সেই সোনালী সাফল্য মাখা দিন আর নেই। সাফল্য কমে যাওয়ার পাশাপাশি সুনামও গেছে কমে। গত কয়েক বছর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়মিত ও যথাযতভাবে পরিশোধে নানা গড়িমসি করার রেকর্ড আছে ব্রাদার্সের।
অভিযোগ উঠেছে, গত দুই মৌসুম ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ঠিকমত পরিশোধ করেনি গোপিবাগের দলটি।
বিপিএল শুরুর দ্বিতীয় দিন হোম অব ক্রিকেটের সবুজ চত্বরে যখন সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স আর তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালের লড়াই চলছিল, তখন শেরে বাংলার সামনে পারিশ্রমিকের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের ক্রিকেটাররা। তাদের দাবি, গত ২ বছর ধরে পেমেন্টের প্রায় অর্ধেকও পায়নি ক্লাবটির ক্রিকেটাররা।
ক্রিকেটারদের পক্ষে অধিনায়ক মিজানুর রহমানসহ (ওপেনার) বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সাথে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক আমিন খানও একাত্মতা পোষণ করেছেন।
পেমেন্টের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমিন খানের ব্যাখ্যা, ‘আমরা যাকে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের কাউন্সিলর ও ক্রিকেট চেয়ারম্যান করেছিলাম, তিনি তার প্রতিশ্রুত অর্থ দেননি। তাই ক্রিকেটরদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে পারিনি আমরা।’
ব্রাদার্স ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক ও ক্রিকেট ম্যানেজার আমিন খানের দাবি, তাদের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিপিএলে ফরচুন বরিশালের স্বত্তাধিকারী) যে পরিমাণ অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্লাবের ক্রিকেট কাউন্সিলর হয়েছেন, তার অর্ধেক টাকাও দেননি। তাই তারা বিপাকে পড়ে গেছেন এবং ক্রিকেটারদের পেমেন্ট দিতে পারেননি।
এদিকে ব্রাদার্সের ক্রিকেটার ও ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক আমিন খানরা মিলে যার বিপক্ষে শনিবার মানববন্ধন করেছেন, সেই মিজানুর রহমান অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ফরচুন গ্রুপের মিজানুর রহমান জানিয়ে দিলেন, তিনি এখন আর ব্রাদার্সের ক্রিকেটের কাউন্সিলর নন। তিনি বলেন, ‘এটা তিন বছর আগের ঘটনা। আমি ব্রাদার্স থেকে তিন বছর আগে রিজাইন করেছি। সিসিডিএম থেকে রিজাইন করেছি। কাউন্সিলরশিপ প্রত্যাহার করেছি। তাদের সঙ্গে তিন বছর ধরে পাওনা তো দূরে থাক, কথাবার্তাই নেই। মল্লিক ভাই (বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার) আমাকে বলেছিলেন ওদের এক কোটি টাকা দিতে। আমি ওদের (ব্রাদার্স ক্লাবকে) এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা দিয়েছি। আমি বেশি দিয়েছি। এখন খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিক না পেলেতো আমার কিছু করার নেই।’
ব্রাদার্সের সাথে তার (মিজানের) দ্বন্দ্বটা কোথায়, কি নিয়ে? মিজানের ব্যাখ্যা, ‘খেলোয়াড়দেরকে তারা টাকা দেয় না। টাকা নিয়ে টাকা দেয় না। আমি সেখানে কেনো থাকব? আমাকে ইনভলভ করা হয়। একজন প্লেয়ারকে নিলে, আমার তো জানতে হবে। আমি তো জানিই না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।