চেন্নাই সুপার কিংসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে গুজরাট টাইটান্স জয় দিয়েই শুরু করল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলের আসর।চেন্নাইয়ের দেওয়া ১৭৯ রানের টার্গটে ৪ বল বাকী থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট। অবশ্য নিয়ন্ত্রণে থাকা ম্যাচও একটা সময়ে চলে গিয়েছিল নাগালের বাইরে। তবে হতাশ হতে দেখা যায়নি হার্দিক পান্ডিয়াকে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলেন তিনিই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাইকে হারিয়ে জিতেই অভিযান শুরু করল গুজরাট।
গত বার চেন্নাই যেটুকু ভাল খেলেছিল, তাতে ভূমিকা ছিল ডেভন কনওয়ে। শুরুর দিকে দলের বড় রানের ভিতটা গড়ে দিতেন তিনিই। সেই কনওয়ে এবার প্রথম ম্যাচে হতাশ করলেন। তৃতীয় ওভারেই মোহাম্মদ শামির বলে স্টাম্প ছিটকে যায় তার। চেন্নাইয়ের হয়ে ধ্বস সামাল দেন রুতুরাজ এবং মইন আলি। ইংরেজ ক্রিকেটারই বরাবরই উপর দিকে এসে ঝোড়ো ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন। আজও করলেন। গুজরাটের বোলারদের কোনো পাত্তাই দেননি তারা। তবে মইনের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন হয়েছিল। ডিআরএস নিয়ে সে যাত্রা বেঁচে যান তিনি। কিন্তু দুই বল পরেই আউট মইন।
প্রচুর টাকা খরচ করে গত নিলামে বেন স্টোকসকে কিনেছিল চেন্নাই। লক্ষ্য, অলরাউন্ডার স্টোকসকে কাজে লাগানো। কিন্তু ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়কের চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক ভাল হল না। একটা বাউন্ডারি মেরে শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু সতীর্থ মইনের মতোই আউট হলেন। রশিদ খানের বল কাট করতে গিয়েছিলেন। বলের বাউন্স এতটাই নীচু ছিল যে বুঝতেই পারেননি। বল জমা পড়ে ঋদ্ধিমানের হাতে।
পরের দিকে চেন্নাইয়ের আর কোনও ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। কিন্তু একটা দিক ধরে রেখেছিলেন সেই রুতুরাজ। গুজরাতের বোলারদের যথেচ্ছ পিটিয়ে তিনি বড় রান করেন। শতরানও পেয়ে যেতেন। তবে ছয় মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে হয়নি। আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ নেন শুভমন গিল।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে বা বাংলার ক্রিকেটে কদর না-ই পেতে পারেন। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহা যে ফুরিয়ে যাননি, তার প্রমাণ আরও একবার। বাঙালি ক্রিকেটার শুরু থেকেই চালিয়ে খেলার মেজাজে নেমেছিলেন। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে চেন্নাই নামিয়েছিল তুষার দেশপান্ডেকে। তাঁকে ছয় মেরে স্বাগত জানান ঋদ্ধি। দীপক চাহার বা রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকরকেও মাথায় চড়তে দেননি। চতুর্থ ওভারের মাথায় শিবম দুবে অসাধারণ ক্যাচ না নিলে ঋদ্ধি আরও বেশি রান করতে পারতেন।
৩৬ বলে গুজরাটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন শুভম গিল। তবে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন রশীদ খান ও রাহুল তেওতিয়া। রশীদ ৩ বলে ১০ এবং তেওতিয়া ১৪ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। আর গুজরাট করে ৫ উইকেটে ১৮২ রান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।