‘নির্বোধ বা নির্বুদ্ধিতার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল’ এভাবেই গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটিকে ব্যাখ্যা করছিলেন রফিকুল ইসলাম বাবু। সাবেক বিসিবি পরিচালক ও এখন ক্লাব কর্মকর্তাদের নেতার কাছে প্রশ্ন ছিল, গঠনতন্ত্র সংশোধনীর একটি খসড়া প্রস্তাব প্রসঙ্গে।
এ নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে সরগরম ছিল দেশের ক্রিকেট। এখন বিসিবির ২৫ পরিচালকের ১২জনই আসেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট থেকে। এটি বদলে ৪ জনের প্রস্তাব দিয়েছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিমের নেতৃত্বাধীন গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি, এমন আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর এ নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হন ক্লার্বের কর্তারা। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগও বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার বোর্ডসভায় গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। এরপর আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট।
যে সংশোধনীর প্রস্তাব নিয়ে এত আলোচনা, তা কখনো কোথাও জমা দেওয়া হয়নি বলে বিসিবি জানায়। এখন নতুন করে কমিটি করার কথাও জানায় তারা। এখানে কি ১২ জন থেকে কিছু কমানোর ব্যাপারে রাজি আছেন ক্লাব কর্তারা?
এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল বাবু বলেন, ‘আমরা এটা মনে করি যে ঢাকার ক্রিকেট লিগ মানে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ঢাকার ক্লাবে শুধু ঢাকার অরগানাইজাররা ইনভলব না। এখানে বাংলাদেশের সবাই ইনভলব আছে। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে থেকে শুরু করে, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়রা চায় ঢাকায় কখন খেলবে। এটা শুধু ঢাকার না, সব জো থেকে এসেছে। আমরা চাই এখন যে ১২ জন পরিচালক ছিল ক্লাবগুলো থেকে। সেটা বাড়িয়ে ১৬ জন করা হোক। বাকিটা বিসিবির বিবেচ্য বিষয় তারা কী করবে। ’
অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ চর্চিত বিষয় ঢাকার বাইরে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে না পারা। বোর্ড পরিচালকদের বেশির ভাগই যদি ঢাকা থেকে হন, তাহলে ছড়াবে কীভাবে? এমন প্রশ্ন ছিল রফিকুল বাবুর কাছে।
উত্তরে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা স্লোগানই ছিল ক্রিকেটকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া। আরাফাত রহমান কোকো এজন্য বিভিন্ন জায়গায় ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম করেছিলেন। আমরা রিজওনাল যে কমিটিগুলোর বডি আছে, সেগুলো একটিভ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ওটা শুরু হয়েছিল। এখানে খুব সম্ভবত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়নি। ’
‘আমরা চাই ঢাকার বাইরে থেকে যে ১০ জন ডিরেক্টর থাকেন, তাদের প্রতিটি জেলায় এবং উপজেলা পর্যায়েও ক্রিকেট খেলা হোক। যেহেতু ক্রিকেট বাংলাদেশের একমাত্র খেলা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের সম্মান বাড়িয়েছে। সুতরাং আমরা চাই কাউন্সিলররা যে বিভাগ থেকে এসেছেন. সেখানে যেন নিয়মিত খেলা হয়। যেখানে খেলা হবে না, সেখানে কাউন্সিলর বাদ দেওয়া যেতে পারে। ’
‘আমরা যদি বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে উনারা নিজের জেলায় খেলা চালাতে পারে না। সেক্ষেত্রে আমরা কীভাবে সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিলাম। এরকম নির্বোধ একটি সিদ্ধান্ত বা নির্বুদ্ধীতার পরিচয় দিয়েছে অনেকে। সেটা থেকে আমরা সরে এসেছি এটা ভালো হয়েছে দেশের জন্য। আমরা চাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়া হোক। আমাদের যে রিজওনাল কমিটিগুলো আছে, সেগুলো আরও এক্টিভেট ও সক্রিয় হোক। তাহলে আমাদের দেশের জন্য ভালো। আরও ক্রিকেটার উঠে আসবে। এখন তো অনেক ক্রিকেটার আছে। ’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।