আর্জেন্টিনার হয়ে আস্তে আস্তে সময় ফুরিয়ে আসছে লিওনেল মেসির। বয়সটা ৩৭ বছর হলেও এখনো প্রতি ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলে যাচ্ছেন এই বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার। আরো একটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠে দলকে উজ্জীবিত করে চলেছেন মেসি। কিন্তু মেসি কি পরের কোপা আমেরিকাতে থাকবেন? এমন সম্ভাবনা নিয়ে মেসিও সন্দিহান। বর্তমান সময়টাকেই উপভোগের প্রতি বেশি মনোযোগ তার।
ডিএস স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি কোপা আমেরিকা অনেক কঠিন টুর্নামেন্ট। সকল আনুষ্ঠানিক টুর্নামেন্টই অনেক কঠিন। এখানে সামান্য ভুলত্রুটিই ফলাফল নির্ধারণ করে দিবে।’
মেসিকে পরবর্তী কোপা আমেরিকার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আরেকটি কোপা আমেরিকা খেলা? না। আপাতত আমি এতদূর চিন্তা করতে চাই না। আমি এখন বেশ উপভোগ করছি এবং এভাবেই প্রতিদিন উপভোগ করে যেতে চাই। যখন আমি অনেক ভুগেছিলাম তখনও জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সময় পার করেছিলাম। তাই বলতে পারি, আমি সবসময়েই চাই এবং চেষ্টা করি দলের সঙ্গে থাকতে। যখন ফলাফল আমাদের পক্ষে আসতো না তখন আমাদের খারাপ সময় ছিল। এখন আমরা বেশ উপভোগ করেছি। আমিও প্রতিদিন উপভোগ করে যাচ্ছি।’
মেসি আরো বলেন, ‘আমি যতদিন সুস্থ থাকবো ততদিনই খেলতে পারবো। আমি কোপা আমেরিকাতে বেশ ভালোই করেছি এবং ইনজুরি আমার পরিকল্পনাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে; এটি আমি চেয়েছি এমনটা না। এখন আবারো একটি ফাইনালে আমরা। এখন সময় উপভোগ করার। সর্বোচ্চটা চেষ্টা করবো আমরা আবারো চ্যাম্পিয়ন হতে।’
কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন মেসি। সে সম্পর্কে বলেন, ‘ব্যক্তিগত দিক দিয়ে কানাডার বিপক্ষে আমি দারুণ ছন্দে ছিলাম। চিলির পক্ষে আমি শুরুতে ভালোই অনুভব করছিলাম এরপর উরুতে চোট পাই। তারপর থেকেই আমি সমস্যা বোধ করছিলাম। আমি যখনই দৌঁড়াতে চেষ্টা করছিলাম তখনই আমার খেলাকে ধীরগতির করে দিচ্ছিল।’
ইকুয়েডরের বিপক্ষেও মেসি ব্যথা নিয়ে খেলেছেন বলে স্বীকার করেছেন এই সাক্ষাৎকারে। ‘আমি ইকুয়েডরের বিপক্ষেও এমন ব্যথা নিয়ে খেলে গেছি। আমি এই ইনজুরির ভেতর দিয়েই যাচ্ছি এবং মনে রাখছিলাম কি হয়েছিল আগে। কানাডার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিতে আমি আগের থেকে অনেক ভালো ছিলাম। গেল কয়েকদিনে আমি আরো সুস্থ হয়ে উঠেছি।’
ফাইনালে টাইব্রেকারের কথাও মাথায় আছে মেসির। এখানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ অন্য সবার থেকে সেরা। ‘পেনাল্টির ক্ষেত্রে যদিও সবাই বলে ভাগ্যের ব্যাপার কিন্তু দিবু মাঠে থাকলে তেমন মনে হয় না। সে একটি কিংবা দুটি পেনাল্টি সেভ করবেই যা দলকে এগিয়ে রাখে। আমাদের প্রতিপক্ষরা এখন আমাদের সাথে অন্যরকম পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে নামে। অনেকেই ড্র করার চিন্তা নিয়ে নামে এবং টাইব্রেকারে নিয়ে যায়। যেখানে সবসময় সেরা দলটা জয়লাভ করে না। আমরা ইকুয়েডরের বিপক্ষে ভাগ্যবান ছিলাম কারণ তারা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিল এমনকি শেষ সময় পর্যন্ত।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।