রান তাড়ায় বিরাট কোহলি সেরাদের সেরা। তাই ২৫৭ রানের লক্ষ্য তার কাছে মামুলিই বটে। কোহলি ঠিক সেটাই করেছেন, যেমনটা তাকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল প্রতিটি ভারতীয় সমর্থকের। বাংলাদেশের বিপক্ষে দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেওয়ার পথে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি।
এই সেঞ্চুরির শুরুটা যে এমন হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কোহলি। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ। যে কারণে ব্যাটিংয়ে নামেন কোহলি, প্রথম বলে মিড উইকেটে ফ্লিক করে দৌড়ে দুই রান নিয়ে নেন তিনি। পরে থার্ড আম্পায়ার জানিয়ে দেয়, বলটি বৈধ ছিল না। তাই ফ্রি-হিট পেয়ে যান কোহলি। ব্যাটিংয়ের শুরুতেই হাতখুলে খেলার সুযোগ কে না চায়!
কোহলিও এর পুরোপুরি ফায়দা লুটলেন মিড অন দিয়ে চার মেরে। কিন্তু বোলিং করার সময় আবারও পা পপিং ক্রিজের বাইরে রাখেন হাসান। তাই আবারও নো বল ঘোষণা করেন, আবারও ফ্রি হিট। সেই ডেলিভারিতে তেড়ে এসে হাসানকে ছক্কা মারেন কোহলি। এমন শুরুর পর আর পেছন ফেরে তাকাতে হয়নি ডানহাতি এই ব্যাটার। ৯৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেই ছাড়েন মাঠ।
ম্যাচ-সেরা হয়ে কোহলি বলেন, ‘জাদেজার কাছ থেকে ম্যাচসেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নেওয়া দুঃখিত। আমি বড় অবদান রাখতে চেয়েছিলাম। বিশ্বকাপে কিছু ফিফটি ছিল আমার যা সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারিনি। আমি কেবল ম্যাচটা শেষ করতে এবং শেষ পর্যন্ত থাকতে চেয়েছিলাম যেটা দলের হয়ে বছরের পর বছর ধরে করে আসছি। (ইনিংসের শুরুতেই ফ্রি-হিট) শুভমানকে বলছিলাম, স্বপ্নেও এমন কিছু দেখলে নিজেকে বলতাম এসব বাদ দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ো। সেটা বাস্তব মনে হতো না। কিন্তু আমার শুরুটা সেই স্বপ্নের মতোই হয়েছে। প্রথম চার বলে দুটি ফ্রি-হিট, যেখানে একটি করে চার ও ছক্কা। যা ইনিংস সাজাতে আমাকে মানসিকভাবে স্থির রেখেছে। ‘
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।