২৬৩ রানের টার্গেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষ ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা। ৩ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ বিনা উইেকেট ৬ রান। ব্যাটিংয়ে আছেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা।
এর আগে, বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়লেও সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও লোগান ফন বিকের ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। সপ্তম উইকেটে এঙ্গেলব্রেখট ও বিকের ১৩০ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ৪৯ দশমিক ৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে আজ ২৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে নেদারল্যান্ডস। এঙ্গেলব্রেখট ৭০ ও বিক ক্যারিয়ার সেরা ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। শ্রীলংকার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও দিলশান মাদুশঙ্কা ৪টি করে উইকেট নেন। দু’জনেরই এটা ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
লক্ষ্ণৌতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্বান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৭ রানে প্রথম হোচট খায় ডাচরা। শ্রীলংকার ডান হাতি পেসার কাসুন রাজিথার শিকার হয়ে ৪ রানে বিদায় নেন ওপেনার বিক্রমজিত সিং। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ ও কলিন অ্যাকারম্যান। শ্রীলংকার বোলারদের বিপক্ষে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলেন তারা।
কিন্তু দলের রান ৫০ হবার আগেই রাজিথার দ্বিতীয় শিকার হন ১টি করে চার-ছক্কায় ২৭ বলে ১৬ রান করা ও’দাউদ। তবে আউট হওয়ার আগে অ্যাকারম্যানের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ বলে ৪১ রান যোগ করেন ও’দাউদ।
দলীয় ৪৮ রানে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ও’দাউদ ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। ৫টি চারে ৩১ বলে ২৯ রান করা অ্যাকারম্যানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় শিকারের দেখা পান রাজিথা।
রাজিথার তিন উইকেট শিকারের পর নেদারল্যান্ডসের মিডল অর্ডারকে চেপে ধরেন আরেক পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। বাস ডি লিডে ৬ ও তেজা নিদামানুরু ৯ রানে শিকার হন মাদুশঙ্কার। শ্রীলংকার দুই পেসারের তোপে ৭১ রানে পঞ্চম উইকেট পতন হয় নেদারল্যান্ডসের। এমন অবস্থায় নেদারল্যান্ডসের ভরসা হিসেবে ক্রিজে ছিলেন আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের নায়ক দলপতি স্কট এডওয়ার্ডস। কিন্তু ২২তম ওভারে শ্রীলংকার স্পিনার মহিশ থিকশানার বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ১৬ বলে ১৬ রান করা এডওয়ার্ডস।
এ পর্যায়ে ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেটি হতে দেননি এঙ্গেলব্রেখট ও ফন বিক। শ্রীলংকার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তারা। দেখেশুনে খেলে ৩৫ ওভারে দলের রান দেড়শতে নেন এঙ্গেলব্রেখট-ফন বিক জুটি। ৪১তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচেই প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৬৫ বল খেলা এঙ্গেলব্রেখট। ৪৩তম ওভারে দলের রান ২শ স্পর্শ করে। ৪৬তম ওভারে এঙ্গেলব্রেখটকে শিকার করে জমে যাওয়া জুটি ভাঙ্গেন মাদুশঙ্কা। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮২ বলে ৭০ রান করেন এঙ্গেলব্রেখট। সপ্তম উইকেটে বিক-এঙ্গেলব্রেখট ১৪৩ বলে বিশ^কাপে নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩০ রানের জুটি গড়েন ।
এঙ্গেলব্রেখট ফেরার পর ৬৮ বল খেলে ওয়ানডেতে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন পেস বোলার ফন বিক। ৪৯তম ওভারে বিককে নিজের চতুর্থ শিকার বানান রাজিথা। ১টি করে চার-ছক্কায় ৭৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৫৯ রান করেন বিক। ৯১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতন হলেও শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকী থাকতে ২৬২ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। শ্রীলংকার রাজিথা ৫০ রানে ও মাদুশঙ্কা ৪৯ রানে ৪টি করে উইকেট নেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।