টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তখনও বাংলাদেশের সে অর্থে বড় কিছু করে দেখানো হয়নি। ২০০৯ সালে মার্শাল আইয়ুবকে ছয় বলে ছয় ছক্কা মের দেশের ক্রিকেটে প্রথম এক ওভারে ছয় ছক্কার রেকর্ড গরেছিলেন নাঈম ইসলাম। সেবছরই শেষ ওভারে তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান এই অলরাউন্ডার। এরপরই তার নাম হয়ে যায় ছক্কা নাঈম।
একটা সময় দেশের ক্রিকেটের অপরিহার্য নাম হয়ে উঠেছিলেন নাঈম। পরে টিম কম্বিনেশনের কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন। অনেকটা দিন ধরেই গায়ে উঠেনি লাল-সবুজের জার্সি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নাঈম এখনও বিশ্বস্ত নাম। খেলে যাচ্ছেন নিজের মত করেই। গতকাল (মঙ্গলবার) তো দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডই করে ফেললেন এই অলরাউন্ডার।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনেই অনবদ্য কীর্তি গড়েন নাঈম ইসলাম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৩তম শতক হাঁকালেন, ছাড়িয়ে গেলেন তুষার ইমরানকে। গত মাসে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা মেট্রোর জার্সিতে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩২তম সেঞ্চুরিতে তুষারের পাশে বসেন নাঈম।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৮২ ম্যাচ খেলে তুষার ৩২টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তুষার ইমরান। আর ৩৩ সেঞ্চুরি করতে করতে নাইম খেলছেন ১৭০ ইনিংস। ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটার সেন্ট্রাল জোনের হয়ে নর্থ জোনের বিপক্ষে রেকর্ডগড়া এই সেঞ্চুরি হাঁকান।
অবশ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করা বাংলাদেশি ক্রিকেটার এখনও তুষার ইমরান। সদ্য কোচিংয়ে নাম লেখানো এই ক্রিকেটারের ঘরোয়া ক্রিকেটে রান ১১ হাজার ৯৭২। ১০ হাজার ৪৮৬ রান নিয়ে তার পরেই আছেন নাঈম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।