একের পর এক ম্যাচ যাচ্ছে, কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট সত্যিকার অর্থেই ‘শান্ত’। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে শান্তর চার ইনিংসের স্কোর—৭, ১৪, ১ ও ৪। সব মিলিয়ে স্কোর ২৬ রানের। এক ম্যাচ আগেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের ব্যাটিং নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই বলে জানিয়েছিলেন। তবে সোমবার নেপালের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পর নিজের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার কথা স্বীকার করে নিলেন।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচের পর অধিনায়ক বললেন, ‘অবশ্যই চিন্তার কারণ (নিজের ব্যাটিং)। এভাবে ব্যাটিং করলে মনে হয় না দলের জন্য ভালো কোনও দিক। ভালো শুরু পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, আমরা ভালো শুরু পাচ্ছি না। ব্যাটাররা ওই রকমভাবে শেষও করতে পারছে না। অবশ্যই চিন্তার কারণ। এখান থেকে আমাদেকেই বেরিয়ে আসতে হবে। কীভাবে বেরোতে হবে এটা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা সব সময়ই হয়, কিন্তু এই ভুল বারবারই হচ্ছে। আশা করবো পরের রাউন্ডে এসব ভুল যতো কম করা যায়।’
গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে টপ অর্ডার ব্যাটাররা নিয়মিত ব্যর্থ হয়েছেন। আজ নেপালের বিপক্ষেও এই ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে। গোল্ডেন ডাক মেরে তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪, লিটন দাস ১০, তাওহীদ হৃদয় ফেরেন ৯ রানে। দলের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ১৭ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে ৩ বল বাকি থাকতে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। প্রতি ম্যাচেই দলকে জয় এনে দিচ্ছেন বোলাররা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের পথ তৈরি করেছিল বোলাররাই। কিন্তু ব্যাটররা মামুলি সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি।
ব্যাটারদের এমন ব্যাটিং গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘এটা তো আসলে সম্ভব না প্রতিদিন বোলাররা ম্যাচ জেতাবে। আশা করবো প্রতিদিনই তারা ম্যাচ জেতাক। ব্যাটারদের দায়িত্বও আছে। কেন হচ্ছে না, সবাই চেষ্টা করছে বের করার, কিন্তু হচ্ছে না। এটা গ্রহণযোগ্য না। সত্যি বলতে, এই উইকেট ১৪০-১৫০ রান করার মতো ছিল, আমরা করতে পারিনি। অবশ্য এটা আমাদের জন্য চিন্তার একটা করণ।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক না হলেও স্কোরটা এতো কমেরও নয়। শান্তর মতে, ‘পুরো টুর্নামেন্টেই খুব বড় স্কোর হচ্ছে না। বেশির ভাগ ম্যাচেই এরকম কম রান হচ্ছে। ওগুলো ডিপেন্ড করছে আবার জিতেছে। আমি যেটা বললাম, কম রান হয়েছে, এত কম রানের উইকেট না। ১৩০-১৪০ রানের উইকেট ছিল। সব মলিয়ে যদি বলেন, এই টুর্নামেন্টে ভালো ফ্ল্যাট উইকেট আমি বলবো না।’
স্কোরবোর্ডে কোনও রকমে ১০৬ রান তুললেও জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। বাংলাদেশের ইনিংসের ১০-১৫ ওভার পর ব্যাটাররা বুঝতে পারেন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘প্রতিটি খেলোয়াড় বিশ্বাস করেছে এই রান ডিফেন্ড করা সম্ভব। সত্যি কথা। জিতে গেছি, সে জন্য বলছি না। বিরতির সময় খেলোয়াড়েরা আমরা যখন কথা বলেছি, সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল এই ম্যাচ আমরা জিততে পারি।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।