সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শক্তিশালী অতিথি দল অন্তর্ভুক্তির সুফল পেতে শুরু করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলে এ অঞ্চলের দেশগুলো হয়ে উঠছে আরো লড়াকু।
বাংলাদেশ যে সাফের পর থেকে ধারাবাহিক ভালো ফুটবল খেলছে, তার কারণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে হওয়া সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মধ্যপ্রাচ্যের দল কুয়েত ও লেবাননকে অন্তর্ভুক্ত করা। মঙ্গলবার লেবাননের বিপক্ষে ড্র করার পর সাফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলছিলেন, সাফে শক্তিশালী অতিথি দল খেলানোর সুফল পেতে শুরু করেছি আমরা।
এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বেশিবেশি ম্যাচ না খেললে ফুটবল এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। সেই ধারণা থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের আগ্রহে গত সাফে শক্তিশালী দল অন্তর্ভুক্ত করেছিল সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।
ছেলেদের সাফের পর এবার নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও অতিথি দল অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি চিন্তা করছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।
সাফ-এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘আমরা যখন গত সাফে অতিথি দল অন্তর্ভুক্তি করি তখন অনেক দেশই সমালোচনা করেছে। অনেকের ভয় ছিল, তাতে শিরোপা এ অঞ্চলের দলের কাছে থাকবে না। কিন্তু সাফে ঠিকই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুয়েতকে হারিয়ে। বিশ্বকাপের বাছাইয়ে সেই কুয়েতকে আবারও হারিয়ে এসেছে ভারত।’
‘বাংলাদেশ সাফে লেবাননের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফাইট করে শেষের দিকে ভুলের কারণে হেরেছে। সেই লেবাননের বিপক্ষে দুই দিন আগে ড্র করেছে। সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ অনেক ভালো ফুটবল খেলেছে কুয়েতের বিপক্ষেও। বিশ্বকাপের বাছাইয়ে লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র করা শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সুফল। যে কারণে আমরা আগামী নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা অতিথি দল খেলানোর চিন্তা করছি। তাতে নারী জাতীয় দলের পারফরম্যান্স বাড়বে।’
এরই মধ্যে নারীদের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে অতিথি খেলিয়েছে সাফ। এ বছর ২০ থেকে ২৮ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অতিথি দল হিসেবে ছিল রাশিয়া। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান-এই চার দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাশিয়ান কিশোরীরা।
সিনিয়র নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। আগামী বছর অক্টোবরে পরের আসর বসবে। তবে কোথায় হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।
‘বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান নারী সাফের আয়োজক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত করিনি। কিছুদিনের মধ্যেই ভেন্যু ঠিক করা হবে। সেই সঙ্গে ঠিক করা হবে আমরা অতিথি দলকে আমন্ত্রণ করবো কিনা। সাফের স্পন্সর স্বত্ব যারা পাবে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে। অতিথি দল আমন্ত্রণে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ইতিবাচক হবে বলেই আমার বিশ্বাস’-বলছিলেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।