৯৩ ওভারে ৩৬৮ রান, ৪ উইকেটের বিনিময়ে। গড়ে প্রতিটি উইকেটের পেছনে খরচ ৯২ রান, ২৩.২৫ ওভার। অর্থাৎ প্রায় ১৪০ ডেলিভারিতে মিলেছে ১ উইকেট। এই অংকই বলে দেয়, গল টেস্টে তৃতীয় দিনে কতটা পরিশ্রম গেছে বাংলাদেশের বোলারদের। পেস বোলিং কোচ শন টেইট দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়েছেন, সামনে আরো অনেক কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।
তৃতীয় দিনেও গলের উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই ছিল। টেইট মনে করেন, ব্যপারটা একেবারে বিরল নয়, ‘আমার মনে হয় উইকেট এখনো বেশ ভাল। উইকেট একই রকম আছে। খুব বেশি বদলায়নি। আজকের দিনটা (তৃতীয় দিন) ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভাল ছিল। আমরা তেমনটাই দেখলাম। খুব একটা স্পিন করেনি, যতটা করেছে সেটা খুবই সামান্য, একদমই না করার মত। সাধারণত গলে তৃতীয় দিনে আরেকটু বেশি স্পিন করা শুরু হয়। আরো ২ দিন আছে, টেস্ট ক্রিকেটে খুব দ্রুত খেলা বদলে যায়। এখনো অনেক কঠিন পরিশ্রম করতে হবে’, বলেছেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। গোটা তৃতীয় দিনের খেলায় বাংলাদেশের সবচাইতে কাংখিত মুহূর্ত নিঃসন্দেহে পাথুম নিশাঙ্কাকে বোল্ড করা হাসান মাহমুদের ডেলিভারিটি। নিশাঙ্কার ইনিংসটিই বাংলাদেশের বিপদ বাড়াচ্ছিল, শ্রীলঙ্কার হয়ে ওড়াচ্ছিল বিজয় নিশান। এই বলটা নিয়ে খুব বেশি উচ্ছসিত অবশ্য নন টেইট, ‘এটাই ওর (হাসান মাহমুদ) কাজ। স্পিনাররাই বেশিরভাগ ওভারগুলো করবে, তাই ওর কাজ হচ্ছে নতুন বলে উইকেট এনে দেয়া। মিডল স্টাম্পে বল রাখা। ওর ডেলিভারিটা ভাল ছিল। এই উইকেটে ছোট ছোট জয়ের মুহূর্তগুলোকেই পাথেয় করে এগিয়ে যেতে হবে। দিনশেষে এটা আমাদের ইতিবাচক একটা মুহূর্ত এনে দিয়েছে।’
পেসারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নে টেইট বলেছেন, ‘উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভাল। কন্ডিশনটা পেসারদের জন্য কঠিন। তারা অনেক ঘাম ঝরিয়েছে। তারা অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা প্রথম নতুন বলটা আরো ভাল ভাবে কাজে লাগাতে পারতাম। সেই সুযোগটা আমরা মিস করেছি এবং তারাও (বোলাররা) সেটা জানে। আসলে এতটুকুই তো কারো কাছে চাওয়া যায়। ভিন্ন দিনে ভিন্ন উইকেটে বল করলে ভিন্ন ফল আসবে। আমরাও ২ দিন ব্যাট করেছি। এটা সেরকমই ভাল ব্যাটিং উইকেটগুলোর একটা।’
নাহিদ রানার বোলিং নিয়ে টেইটের মূল্যায়ন, ‘এটা পেস বোলিং কোচ হিসেবে আমার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। কেউ যদি নাহিদের মত গতিশীল হয়, তাহলে নতুন বলটা তারই পাওনা। সময়ে সময়ে এটাই হয়ে আসছে। আমি জানি না আগামীতে কে নতুন বলটা হাতে নেবে। আমাদের দুজন ফাস্ট বোলার আছে, তাকেই (রানা) নতুন বলটা নিতে হবে। এটা তার অষ্টম টেস্ট, খুবই শুরুর দিকে আছে সে ক্যারিয়ারে। তাকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা আছে। আমার কাজ হচ্ছে তাকে তৈরি করা, শুধু বোলিং নয় বাড়তি চাপ সামাল দেয়াটা শেখানোও আমার কাজের অংশ। সাধারণ কথা যদি বলি, আমাদের নতুন বলের ব্যবহারের উন্নতি করতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।