পেশাদার বক্সিং ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয়েছে প্যাথ টু গ্লোরি বক্সিং প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ, ভারত ও মালয়েশিয়ার মোট ২৬ জন বক্সার প্রথম আসরে অংশ নিয়েছেন। দেশে বিশ্বামানের বক্সার তৈরির জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
বিশ্বের অনেক দেশেই বক্সিং খেলার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মোহাম্মদ আলী থেকে মাইক টাইসন- এই বক্সিং দিয়ে বিশ্বের বুকে তাদের পরিচয়। পাশের দেশ ভারতেও এই খেলার জনপ্রিয়তা কম নয়। তবে প্রতিভা থাকলেও বাংলাদেশে চিত্রটা ভিন্ন।
যদিও বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পেশাদার বক্সিং ফাউন্ডেশন। এবারও আয়োজন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। যার নাম ‘প্যাথ টু গ্লোরি’ পেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতা। এমন একটা আয়োজনকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন অংশগ্রহণকারীরা। দাবি ধারাবাহিকতার।
সুরা চাকমাসহ হাতে গোণা অল্প কয়েকজন বক্সারই আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে দেশের হয়ে কিছুটা সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন। তবে বেশি বেশি এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন ও সুযোগ সুবিধা বাড়ালে বাংলাদেশ থেকেও বিশ্বমানের বক্সার তৈরি হবে বলে বিশ্বাস আয়োজকদের।
বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আদনান হারুন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো বক্সিং ওপরের পর্যায়ে যায়নি। সুতরাং এখান থেকে যে মাইক টাইসনদের মতো তারকা বের হবে, সেটি বলছি না। তবে সঠিকভাবে এগিয়ে গেলে কোরিয়া, জাপান থেকেও ভালো বক্সার বের হবে।’
প্যাথ টু গ্লোরি বক্সিংয়ের পৃষ্ঠপোষক ঈশ্রাত কারিম ভুইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে বক্সিংকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেভাবে সহায়তা পাচ্ছি না। অনেকেই এগিয়ে এসেছে, তবে আরও বেশি কাজ করতে পারলে এই প্রতিযোগিতাকে অনেক ওপরে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
বাংলাদেশে ক্রিকেট-ফুটবলের সমর্থক সংখ্যা বেশি থাকলেও পেশাদার বক্সিংয়েরও দর্শক রয়েছে। তবে জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রয়োজন প্রচারণা। প্যাথ টু গ্লোরি পেশাদার বক্সিংয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ভারত ও মালয়েশিয়ার মোট ২৬ জন বক্সার অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।