দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে রয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই পাঁচ মাস পরই নতুন কোচে দেখা যেতে পারে টাইগার শিবিরে।
অনেক দিন ধরেই আলোচনায় জাতীয় দলে দেশীয় কোচ নিয়োগের বিষয়ে। তবে সম্প্রতি ভারতের ক্রীড়া সাময়িকী ‘স্পোর্টস্টারকে’ এক সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, দেশের কারো প্রধান কোচ হওয়ার সামর্থ্য নেই। তামিমের সেই কথার এবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন
কোচ সালাউদ্দিন।
তিনি তামিমের সঙ্গে একমত পোষণ করে এই বলেছেন, ‘তামিম সঠিক কথা বলেছে। জাতীয় দলে যে ক্রিকেটাররা প্রথমবার আসে, তখন আমরা কি ভাবি সে প্রস্তুত হয়ে এসেছে? খেলোয়াড়দের সময় দেয়া হয়। তাদের যদি ৫ বছর লাগে তৈরি হতে তাহলে তো কোচদেরও সময় দেয়া উচিত।’
বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড তাদের অনেক সাবেক ক্রিকেটারদের কোচ বানানোর পথে হাঁটছে। প্রতিবেশী ভারতে অনেক বছর ধরেই হেড কোচের পদ ভারতীয়দের দখলে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাও ক্রিস সিলভারউডের জায়গায় দেশটির কিংবদন্তী সনাৎ জয়াসুরিয়াকে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশেরও তেমন কিছু ভাবা উচিত কি না এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তামিমকে।
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার ১৭ সদস্যের শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
জাতীয় দলে দেশি কোচ ইস্যুতে তখন তামিম বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে এখন আছে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’
তবে দেশি কোচদের প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।