ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করতে সব সময়ই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকেন; কিন্তু অবাক করা সত্য হলো- পাশের দেশ ভারতে বিশ্বকাপ, তারপরও এবার সেভাবে খেলা দেখতে যাননি বিসিবি সভাপতি। তবে গতকাল শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দেখেছেন তিনি। চেখের সামনে নিজ দলকে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারতে দেখে মোটেই ভালো লাগেনি তার।
ভেতরে চরম হতাশ হলেও বিসিবি সভাপতির কণ্ঠে ছিল ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা। তিনি আশায় আছেন, শেষটা যাতে ভাল হয়।পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাকি ৩ ম্যাচ কিভাবে ভাল খেলতে পারে দল, সে চিন্তায়ই বিভোর নাজমুল হাসান পাপন। তিনি ক্রিকেটারদের সাহস জোগাতে চান। হারতে হারতে তলানিতে গিয়ে ঠেকা আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টার কথাও বলেছেন বিসিবি প্রধান।
ক্রিকেটারদের সাথে কথা বলে তাদের তিনি বলেন, ‘যেটা হয়ে গেছে আমাদের কিছুই করার নেই আমাদের সামনে তিনটি ম্যাচ আছে। এই তিন ম্যাচে আমরা কিভাবে ভালো খেলতে পারি এটা ছাড়া করার কিছু নেই। এটা করতে হলে দুটো জিনিস করতে হবে। ওদের মধ্যে সাহস যোগাতে হবে, বিশ্বাস যোগাতে হবে। যেন ওরা পারে।’
‘এই বিশ্বাস আর সাহস যদি ওদের নিজেদের মধ্যে না আসে, তাহলে ওরা সবসময় কনফিউজ থাকবে। শট সিলেকশানে ভুল করবে। মারতে গেলে এমন হতেই পারে। এটাই করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা সকলে মিলে বলল যে, তারা সবাই ইউনাইটেড। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।’
‘রান পাচ্ছে না, এটা চিন্তা করেই আরও বেশি ওদের খারাপ লাগছে। কারণ ওরাই তো সুপারস্টার আমাদের। ছিল সবসময়। এটা তো একদিন দুইদিনের না। বছরের পর বছর। এরা রান পাচ্ছে না, এটাই এরা মেনে নিতে পারছে না। এটাই বললাম ওদের, যে মানুষ এখন খারাপ বলবে, অবশ্যই বলবে। না বলার কোনো কারণ নেই। মানুষ ক্রিকেটকে ভালোবাসে বলেই তো এই ধরনের খেলা খেললে বা হারলে কথা বলবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।