বাবর-সাকিব-সোহানদের রংপুর রাইডার্সের সামনে পাত্তাই পেলো না মোসাদ্দেক হোসেনের দল দুরন্ত ঢাকা। ঢাকাকে ৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর। চার ম্যাচে এটি রংপুরের দ্বিতীয় জয়, তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হার ঢাকার।
১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে কখনই ম্যাচে ছিল না ঢাকা। ৩২ রানে ৪টি আর ৮১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল। অ্যালেক্স রস কেবল লড়াই করেছেন।
৩৫ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় ৫১ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে রস ফেরার পর আর ২ রান যোগ করে ১৬.৩ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয় ঢাকা।
শেখ মেহেদি মাত্র ১১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর হাসান মাহমুদের। ব্যাটিং না করলেও ৩ ওভার বল করেন সাকিব। ২৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
এর আগে রংপুর রাইডার্সের ৮ উইকেট পড়লো। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নামলেন না চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিব আল হাসান। তবে বাবর আজমের ফিফটিতে ভর করে ৮ উইকেটে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহই গড়ে রংপুর রাইডার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুরের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেন দুই বিদেশি ব্রেন্ডন কিং আর বাবর আজম। কিং শুরুটা করেছিলেন ভালোই। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ বলে ২০ করে তাসকিন আহমেদের শিকার হন তিনি।
রনি তালুকদারও ৭ বলে ১১ রানে থামেন। তার উইকেটটি নেন আরাফাত সানি। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সেট হয়েও ইনিংস করতে পারেননি। ১৩তম ওভারে এসে জোড়া শিকার করেন আরাফাত সানি। সোহান ফেরেন ২৪ বলে ২৬ করে, মোহাম্মদ নবি ১ রানেই আউট।
সেখান থেকে দলকে অনেকটা পথ টেনে নিয়ে যান বাবর আজম। এবারের বিপিএলে তিন ম্যাচে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। অবশেষে বাবরকে বাউন্ডারিতে ক্যাচ বানান গুনাথিলাকা। ৪৬ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানের রানমেশিন।
শেষদিকে আফগান আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ১৫ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৩২ আর শামীম পাটোয়ারীর ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৭ রানে বড় পুঁজি গড়ে রংপুর। ঢাকার বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ৩২ রানে নেন ৩টি উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।