বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে অ্যালান ডোনাল্ডের বাংলাদেশ অধ্যায়। লাল-সবুজের পেস ইউনিট নিয়ে বেশ লম্বা সময় ধরে কাজ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এ কিংবদন্তি বোলার। তার অধীনে তাসকিন-মুস্তাফিজদের উন্নতি চোখে পড়ার মতোই। তবে বিশ্বমঞ্চে আলো ছড়াতে পারেনি সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত এ পেসারের শিষ্যরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার চলে যাওয়ায় নতুন কাউকে খুঁজতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। ভালো সম্পর্ক তৈরি হলেও ডোনাল্ডের চলে যাওয়াকে পেশাদার হিসেবে দেখছেন তাসকিন। ডোনাল্ডের সঙ্গে কাজ করা উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাসকিন বলেন, ‘সে অসাধারণভাবে আমাদের পেস বোলিং গ্রুপকে টেইক কেয়ার করতো। ভালো হোক বা খারাপ হোক, সবসময় পাশে থাকতো। মোটিভেট করতো আর ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই উপভোগ করেছি উনার সাথে কাজ করে। সে (ডোনাল্ড) চলে গেল, এটাই পেশাদার জীবন। সব কোচই দুই বছর, চার বছর পর চলে যাবে। তার সামনের দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা থাকল। ভবিষ্যতে আরও একজন ভালো বোলিং কোচের আশা করছি।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই পেসারের অধীনে উন্নতি চোখে পড়েছে শরীফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, তাসকিন এবং মুস্তাফিজুর রহমানদের। একাদশে গুরুত্বও বেড়েছে পেসারদের। বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত পেসাররা যেভাবে পারফর্ম করেছেন সেটার কৃতিত্ব পেতেই পারেন ডোনাল্ড।
এর আগে বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে ডোনাল্ড বলেছিলেন, তাদের সঙ্গে আমার দারুণ একটা বন্ধুত্ব হয়েছে। আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। আমি কখনই এখান থেকে নিজেকে ডিলিট করব না। কথা বলার জন্য, আলোচনার জন্য গ্রুপটা আমি সবসময় খোলা রাখব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।