বিশ্বকাপে দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী করলেও টানা তিন ম্যাচে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। শনিবার অবশ্য নেদারল্যান্ডসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তারা টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পেয়েছে। প্রোটিয়াদের হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেওয়া নেদারল্যান্ডস কিন্তু লঙ্কানদেরও ছেড়ে কথা বলেনি। ব্যাট হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পর তারা ২৬৩ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল। বল হাতেও লঙ্কানদের চাপে রেখেছিল তারা। ফলে লক্ষ্য স্পর্শ করতে ঘাম ছুটে গেছে শ্রীলঙ্কার। ৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা জয়ের দেখা পেয়েছে ৪৮.২ ওভারে।
অথচ একটা সময় জয়ের জন্য তাদের যখন আর ৮২ রানের প্রয়োজন, তখন ১৭ ওভারের বেশি হাতে ছিল। কিন্তু দারুণ বোলিংয়ে ডাচরা ধীরে ধীরে ব্যাকফুটে ঠেলেছে লঙ্কানদের। শুরুতে কুশল পেরেরা ৫ রানে, মেন্ডিস ১১ রানে ফিরলেও লঙ্কানরা জয়ের ভিত পেয়েছে ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার ব্যাটিংয়ে। নিসাঙ্কা ফিফটি তুলে ৫৪ রানে ফিরলেও অপরাজিত ছিলেন সাদিরা। শেষ পর্যন্ত ১০৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। সাদিরার ইনিংসে ছিল ৭টি চার। নিসাঙ্কার আউটের পর সাদিরার সঙ্গে জুটি গড়ে অবদান রাখেন চারিথ আসালাঙ্কা (৪৪) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও (৩০)। কিন্তু কেউ শেষ পর্যন্ত থিতু হতে পারেননি। শুধু সাদিরা ডাচদের নিয়ন্ত্রত বোলিংয়ের সামনে শেষ পর্যন্ত প্রান্ত আগলে জয় নিশ্চিত করেছেন। ম্যাচসেরাও ছিলেন তিনি।
৪৪ রানে ডাচদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত। একটি করে নিয়েছেন পল ফন মিকারেন ও কলিন অ্যাকারম্যান।
শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েছে মিডল আর লোয়ার অর্ডার। লখনউয়ে টস জিতে ৪৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে নেদারল্যান্ডস তুলতে পারে ২৬২ রান।
লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা শুরুতে কাঁপিয়ে দেওয়ার পর ডাচরা ঘুরে দাঁড়ায় মূলত সিব্র্যান্ড অ্যাঙ্গেলব্রাখট ও লোগান ফন বিকের ব্যাটিং বীরত্বে। সপ্তম উইকেটে তাদের বিশ্বকাপের রেকর্ড ১৩০ রানের পার্টনারশিপ ভিত গড়ে দেয় আড়াইশ রানের। ২২১ রানে অ্যাঙ্গেলব্রাখটের বিদায়ে ভাঙে জুটি। অলরাউন্ডার অ্যাঙ্গেলব্রাখট ৮২ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রানে ফিরেছেন। এটাই তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়।
তার পর দলটাকে আড়াইশ পার হতে ভূমিকা রাখেন বোলার হিসেবে পরিচিত লোগান ফন বিক। তিনিও ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ফেরার আগে ৭৫ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ রান করেন তিনি।
লঙ্কানদের হয়ে ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দুই পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা ও কাসুন রাজিথা। তার মধ্যে ৫০ রানে ৪ উইকেট নেওয়া রাজিথা ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। মাদুশাঙ্কা ৪৯ রানে নিয়েছেন সমসংখ্যক উইকেট। একটি নিয়েছেন মাহিশা থিকশানা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।