যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আগামী রোববার (২ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চার-ছক্কার টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সে হিসেবে হাতে সময় আছে মাত্র দু’দিন। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলো বিশ্বকাপ ভেন্যুতে পৌঁছে গিয়েছে, অনেকে যাচ্ছে। নিজেদের ঝালিয়ে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নিচ্ছে। বসে নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি)। টুর্নামেন্টের সময় যত ঘনিয়ে আসছে আইসিসিও তাদের ফেসবুক পেজে বিশ্বকাপের আবহে কোনো না কোনো কিছু নিয়ে মেতে উঠছে।
সম্প্রতি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিগত আটটি আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের একটি তালিকা একটি পোস্ট করেছে। সেখানে বাংলাদেশের আরও কেউ থাকলেও আছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই চার-ছক্কার আমেজ। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায় টুর্নামেন্টটি। যেখানে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সে আসরে সর্বোচ্চ ২৬৫ রান সংগ্রহ করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন। পরের আসরে ২০০৯ সালে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান। তিনি করেন ৩১৭ রান। ইউনুস খানের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ায় দুই বছরের জায়গায় এক বছর গ্যাপ দিয়ে সেই আসরটি মাঠে গড়ায়। যেখানে ৩০২ রান করে শ্রীলঙ্কা মাহেলা জয়াবর্ধনে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। যে আসরে পল কলিংউডের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
২০১২ সালে মাঠে গড়ায় টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন ২৪৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। শিরোপা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৪ সালে টুর্নামেন্টের পঞ্চম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। যেখানে ৩১৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন ভারতের বিরাট কোহলি। যেটি এখন পর্যন্ত যে কোনো আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহাক বানিয়েছে তাকে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ২৯৫ রান করে হয়ে যান সেই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বেন স্টোকসকে টানা চার ছক্কা হাঁকিয়ে ইংল্যান্ডের হাতে থাকা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় শিরোপা পাইয়ে দেন ব্রেথওয়েট।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সে আসরেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ১০৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি।
এরপর তামিম ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে নেন। খেলেননি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ বিশ্বকাপই তার ক্যারিয়ারের সবশেষ কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে ১১ সেঞ্চুরি হয়েছে, সেখানে ব্যক্তিগত ইনিংসের হিসাবে সাতে রয়েছেন তামিম। বাংলাদেশের বাহাতি ব্যাটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৩ ম্যাচে করেন ৫১৪ রান। গড় ও স্ট্রাইকরেট ২৪.৪৭ ও ১১৩.৪৬। ১ সেঞ্চুরির পাশাপাশি এক ফিফটি রয়েছে তার।
মাঝে ৪ বছর বিরতি দিয়ে বিশ্বকাপের ৭ম আসর মাঠে গড়ায় ২০২১ সালে। যেখানে পাকিস্তানের বাবর আজম ৩০৩ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। আর প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টটির অষ্টম আসর মাঠে গড়ায় ২০২২ সালে যেখানে পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। আসরে ২৯৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন বিরাট কোহলি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।