সপ্তাহ খানেক পরেই মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে আট আসরের সবগুলোতেই খেলেছে বাংলাদেশ। তবে মেলেনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর নবম আসর ঘিরেও রাখা যাচ্ছে না খুব একটা প্রত্যাশা। হতাশার সিরিজ হারের পর সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি স্ট্যান্ডার্ডে বাংলাদেশ দল অনেক পিছিয়ে।
তার বিশ্বাস, বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দেশের পর্যাপ্ত ক্রিকেটার সুযোগ পেলে এ সংস্করণে উন্নতি সম্ভব। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়া বাংলাদেশের স্কোয়াডকে অন্যতম সেরা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো নিম্ন সারির দলের বিপক্ষে সিরিজ রাখায় দেশের ক্রিকেটে হয়েছে অনেক আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, এ দলগুলোর বিপক্ষেও জিততে বেশ সংগ্রাম করতে হয় বাংলাদেশকে। ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে টানা হার। শেষটা জিতে অবশ্য হোয়াইওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে শান্ত বাহিনী।
রোববার (২৬ মে) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমাদের যে স্ট্যান্ডার্ড এই জায়গায় আমরা কিন্তু অনেক পিছিয়ে। এটা কিন্তু মানতে হবে।’
পিছিয়ে থাকার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি উদাহরণ টেনেছেন আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের। পর্যাপ্ত ক্রিকেটার আইপিএল ও অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে বলে দেশটি এ সংস্করণে উন্নতি করছে। সেখানে বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকজন বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। সংখ্যাটা বাড়লেও বাংলাদেশও টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করবে বলে বিশ্বাস তার।
নান্নু বলেন, ‘দেখুন, বাইরের দেশে যে লিগগুলো হয় আমাদের কয়টা খেলোয়াড় খেলে। আমাদের নিচের সারির বা কাছাকাছি মানের দল আফগানিস্তানের ১১-১২ জন বেশিভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে।ওদের অভিজ্ঞতাটা অনেক। আমরাও যাচ্ছি আস্তে আস্তে আমাদের মুস্তাফিজ এবারের আইপিএলে যথেষ্ট ভালো খেলেছে এবং আমাদের আরও যদি ৩-৪ জন খেলোয়াড় গড়ে ৩-৪ টা লিগ খেলতে পারে তাহলে এই সংস্করণে আমরাও শক্তিশালী হব। তারপরও এই সংস্করণ নিয়ে আগাম কিছু বলতে পারবেন না। একটা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিকের মাঝে অনেক পার্থক্য আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর স্কোয়াডে দুই-একটি পরিবর্তন আনতে পারত কিনা এমনও প্রশ্নও করা হয় সাবেক প্রধান নির্বাচককে। বিশেষ করে, টপ অর্ডারে বার বার সুযোগ পেয়েও হতাশ করছেন লিটন দাস। বিশ্ব আসরের আগে তার অফফর্ম বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা। শনিবার (২৫ মে) ছিল দল চূড়ান্ত করার শেষ দিন। তবে সেটি কাজে লাগায়নি বিসিবি। আগের ১৫ জনের ওপরই ভরসা রেখেছে বোর্ড। নান্নুর মতে, বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলটা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ১৫ জনের যে স্কোয়াড দিয়েছি, সেটা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্কোয়াড। সুতরাং এখানে কাউকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এটার চিন্তাও আনা ঠিক না। নির্বাচক প্যানেল ও টিম ম্যানেজমেন্ট আলোচনা করেই কিন্তু দলটা গড়েছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনের নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের পর্দা উঠবে আগামী ২ জুন। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। গ্রুপ ‘ডি’তে টাইগারদের বাকি তিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।