টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে যদি ধুম-ধাড়াক্কা চার-ছক্কার আয়োজন বলা হয়, ‘টি-টেন’কে তাহলে কি বলা চলে! নিঃসন্দেহে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে ম্যাচ জিততে হবে আরও বেশি আগ্রাসী পারফরম্যান্সে। যদিও এই ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট চালুর পর থেকে এর গায়ে ‘ফিক্সিং’য়ের মতো অভিযোগ লেগে গেছে। সেটি ভিন্ন আলাপ, টি-টেনের ম্যাচে সাকিব আল হাসান খেলেছেন ধীরগতির এক ইনিংস। এরপর তার দল বাংলা টাইগার্সও বড় ব্যবধানে হেরেছে।
আবুধাবিতে চলমান টি-টেন টুর্নামেন্টে এর আগে একাধিক ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যেও দলকে জেতাতে পারেননি সাকিব। তবে আজ তিনি করেছেন টেস্ট ঘরানার ব্যাটিং। ২২ বলে ১৫ রান অপরাজিত ছিলেন সাবেক এই বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফলে ডেকান গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে বাংলা টাইগার্স মাত্র ৭৩ রানের লক্ষ্য দেয়। যা নিজেদের ইনিংসের অর্ধেক বাকি থাকতেই ৯ উইকেট হাতে রেখে জিতে নেয় ডেকান।
ম্যাচে ২২টি বল খেললেও সাকিব কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি। তার স্ট্রাইকরেটও ছিল বেশ কম, ৬৮.১৮। অবশ্য তিনি ব্যাটিংয়েই নামেন দল বিপর্যয়ে পড়ার পর। ২৩ রানে ৪ উইকেট পতনের পর তৃতীয় ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন টাইগার্স অধিনায়ক। অর্থাৎ ক্রিজে থিতু হয়ে প্রয়োজনীয় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি যথেষ্ট সময় পেয়েছেন। তবে ঠিকই সাকিবের ইনিংসটি বাংলা টাইগার্সের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান, আবার স্ট্রাইকরেটে তিনি দ্বিতীয় সর্বনিম্নও।
ব্যাটিংয়ের মতো বল হাতেও বলার মতো কিছু করতে পারেননি সাকিব। অবশ্য ডেকান দ্রুত ম্যাচ জিতে যাওয়ায় তাকে বেশি বল করতে হয়নি, করেছেন মাত্র একটি বল। সেই বলেই আবার ৬ হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে ডেকান। তাদের হয়ে নিকোলাস পুরান ১৩ বলে ৩৬ এবং জস বাটলার ১৩ বলে ২৯ রান করে ৫.১ ওভারেই সাকিবের বাংলা টাইগার্সকে ৯ উইকেটে হারায়।
এ নিয়ে আবুধাবি টি-টেনে ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে টাইগার্স। ফলে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে সাকিব-রশিদরা পয়েন্ট টেবিলের নয় নম্বরে অবস্থান করছে। তাদের নিচে আছে কেবল আরেকটি দল। অন্যদিকে, সমান ম্যাচ খেলে ৫ জয় নিয়ে ডেকান আছে টেবিলের শীর্ষে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।