তারকাঠাসা দল গড়েও গত ডিপিএলে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে থেকে শেষ করেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবারও প্রায় একই পথে হেঁটেছিল ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয়ের দেখা না পাওয়া মোহামেডানের পয়েন্ট ছিল মোটে এক। তাতে আরও একবার সুপার লিগ না খেলেই ডিপিএল শেষ করতে হতো সাকিব আল হাসানের দলকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। সাকিব দলের সঙ্গে যোগ দিতেই বদলে যায় মোহামেডান। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে শুরু, এরপর একে একে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক, সিটি ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শাইনপুকুরকে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সেঞ্চুরিতে টানা পাঁচ জয়ে সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে সাকিবের মোহামেডান। বর্তমানে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে রয়েছে তারা।
বিকেএসপ ‘র ৩ নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৭৭ রানের টার্গেটে নেমে শুরুটা ভালেই করে শাইনপুকুর। দুই ওপেনার খালিদ হাসান ও অভিষেক মিত্র মিলে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে যোগ করেন ৪৩ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই উইকেট হারায় শাইনপুকুর। নাজমুল অপুর বলে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আরিফুল হকের হাতে ধরা পড়েন অভিষেক।
ভালো শুরু করেছিলেন, তবে রানের বেশি করা হয়নি ডানহাতি এই ওপেনারের। তিনে নেমে দলের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি জিসান আলম। তরুণ এই ব্যাটার ৬ রান করে বিদায় নিয়েছেন নাজমুল অপুর বলে বোল্ড হয়ে। জিসানের পর মেহেদি হাসান মিরাজের বলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরতে ওপেনার খালিদকে। যদিও পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
চারে নেমে ৭০ রানে ৬৬ রান করেছেন শুভম। ভারতের এই ব্যাটারকে আউট করেছেন সাকিব। শেষ দিকে সাজ্জাদুল হকের ১৯ আর মাসুম খানের ৩০ রান কেবল শাইনপুকুরের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। মোহামেডানের হয়ে নাজমুল অপু তিনটি আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুশফিক হাসান ও জ্যাক লিনটট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান তোলে মোহামেডান। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ ১২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন অঙ্কন। এ ছাড়া ইমরুল কায়েস ৬৯, সাকিব ৩০ আর আরিফুল করেছেন ২৬ রান। শাইনপুকুরের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান রানা ও মাসুম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।