দুই দলের সমতা থাকলো ৯০ মিনিটেও। অতিরিক্ত আধঘণ্টায় এগিয়ে যেতে পারলো না কেউ। এরপর সুইজারল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচে হয় টাইব্রেকার। অথচ ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ব্রেল এমবোলোর করা গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ডই।
কিন্তু পরে বুকায়ো সাকা ওই গোল শোধ করে ইংল্যান্ডকে সমতা এনে দেন। এরপর ম্যাচ যখন টাইব্রেকারে গড়ায়, তখনও গোল করেন তিনি। তার বাকি চার সতীর্থও বল জালে জড়ায়। আরেকদিকে ম্যানুয়েল আকানজির নেওয়া প্রথম শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকপোর্ড। এতে ৫-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে যায় ইংল্যান্ড।
কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর হতাশার কথা শুনিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের তারকা জর্দান শাকিরি। তিনি বলেছেন, ‘টাইব্রেকারে হেরে বাড়ি ফেরার চেয়ে নিষ্ঠুর কিছু নেই। আমরা লড়াই করেছি আর নিজেদের সবকিছু দিয়েছি। আমাদের চেষ্টা করতে হতো আর এই রূপকথা আরও দীর্ঘ করতে হতো।’
‘আপনি দেখেছেন, আগ্রহ কতটা প্রবল ছিল আর ব্যাপারটা কত বড় ছিল। শুধু সুইজারল্যান্ডে না জার্মানিতেও। আমি দলকে নিয়ে গর্বিত। তারা যেভাবে এই ইউরোতে খেলেছে, তাতে গর্ববোধ করি। আমরা সুইজারল্যান্ডের অনেক মানুষকে আনন্দ দিতে ও গর্বিত করতে পেরেছি।’
শাকিরির সুরেই বলেছেন সতীর্থ ডান এনডোয়েও। তিনি বলেন, ‘এই হারটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমার মনে হয় সেমিফাইনালে থাকা প্রাপ্য ছিল আমাদের। আমরা খুবই একতাবদ্ধ ছিলাম। আমাদের আরও এগোনোর মতো দক্ষতা ছিল। অবশ্যই টাইব্রেকারে হার কষ্ট দিচ্ছে। ফুটবল কখনও কখনও নিষ্ঠুর। কিন্তু জিনিসটা এমনই, আপনাকে মেনে নিতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।