অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেই দলটির বিপক্ষে সেমিফাইনালে আগে গোল করলেও নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জিততে পারেনি। শুরু থেকে দাপট দেখানো ভারত এক পর্যায়ে সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। তাতে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকার নামক স্নায়ু পরীক্ষায়। সেখানে বদলি গোলকিপার মোহাম্মদ আসিফের নৈপুণ্যে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-৩ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
টাইব্রেকারে মোহাম্মদ আসিফ ভারতের প্রথম টাইব্রেকারে শট নিতে আসা থাংলালসনের শট রুখে দেন। এছাড়া পঞ্চম শট নিয়ে আসা আকাশ তিরকের শটও ঝাঁপিয়ে রুখে দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া প্রামভির, গমসার ও মনজিত গোল করেও ভারতকে জয় এনে দিতে পারেননি।
বাংলাদেশ অবশ্য চারটি শট নিয়ে সবকটিতেই জয় পেয়েছে। পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলামে, শাকিল আহমেদ তপু ও আশরাফুল হক গোল করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেছেন। ২৮ আগস্ট ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল।
এর আগে নির্ধারিত সময়ে কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে শুরু থেকে ভারত আধিপত্য দেখাতে থাকে। তাদের ৪-২-৩-১ ছকের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোচ মারুফুল হক ৪-৩-৩ এ খেললেও তা এক পর্যায়ে ৫-৪-১ হয়ে যায়। ভারতই পরিকল্পিত আক্রমণে বারবার বাংলাদেশের রক্ষণে হামলে পড়েছে। বাংলাদেশ বল পেলে সেটা পায়ে রাখতে পারেনি বেশিক্ষণ। বারবার বল হারিয়েছে। তাতে ভারত প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবন একাধিক প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়ে দলকে গোল খেতে দেননি।
১৬ মিনিটে ভারত ভালো সুযোগ পায়। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া গোংশার গোয়েরি শট নেওয়ার আগেই নিখুঁত স্লাইডে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার কামাচি মারমা। একটু পর আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক শ্রাবণ।
প্রথম গোলটি করেছেন আসাদুল। প্রথম গোলটি করেছেন আসাদুল।
৩৫ মিনিটে খেলার বিপরীতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাঁদিক থেকে রাব্বি হোসেন রাহুলের নিচু-ক্রস ভারত কিপার প্রিয়াংস দুবের গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় আসাদুল মোল্লার কাছে। একটু লাফিয়ে ডান পায়ের ভলিতে বল জালে জড়ান আসাদুল। বিরতির দেখা যায় ভারতের একচেটিয়া প্রাধান্য।
৬১ মিনিটে ভারত গোলের কাছাকাছি গিয়েও পায়নি। থাংলারসন ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিলে তা সাইডপোস্টের বাইরে লেগে নস্যাৎ হয়েছে।
তিন মিনিট পর ভারতের একটি প্রচেষ্টা চন্দন রায় প্রায় গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দলকে বাঁচান। ৭৫ মিনিটে অবশেষে ভারত সমতায় ফেরে। ডান প্রান্ত থেকে নিচু ক্রস থেকে ফাঁকায় রিকি মিতি ডান পায়ের গড়ানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। গোলকিপার বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও তা ক্লিয়ার করতে পারেননি। এর আগে সামনে দাঁড়ানো এক ডিফেন্ডারও পারেননি বলের গতি রোধ করতে। এরই মধ্যে গোলকিপার শ্রাবনের জায়গায় আসিফ নামেন।
যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ ১০ জন নিয়ে খেলেছে। কামাচি মারমা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তাতেও ম্যাচের স্কোরলাইনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। পরে টাইব্রেকারে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজ দল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।