ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে নতুন বোর্ড গঠনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটার মাধ্যমে দুজন পরিচালক কেবল বোর্ডে এসেছেন। একজন ফারুক আহমেদ নিজে, অন্যজন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই আত্মগোপনে। এই মুহূর্তে আগের বোর্ডের সক্রিয় পরিচালক আছেন ৮ জন। তারা হচ্ছেন- কাজী ইনাম আহমেদ, মাহবুব আনাম, ইফতেখার আহমেদ মিঠু, আকরাম খান, ফাহিম সিনহা, সাইফুল আলম স্বপন, মঞ্জুরুল আলম ও সালাউদ্দিন চৌধুরী। সবমিলিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ফেডারেশন অনেকটা জোড়াতালি দিয়েই চলছে।
রবিবার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। যখন দায়িত্ব নেই, তখন বিসিবির লোকজনকে (সভাপতি, পরিচালক) খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে।’
আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্ট ঘিরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কিছু সংস্কার করা হয়েছে। কাজগুলো করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বিসিবির পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই সংস্কার কাজ সম্পর্কে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘স্টেডিয়ামগুলো সরকারে অধীনে। এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব তাই সরকারের।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন- বিসিবি, বাফুফেসহ সব ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে। প্রতি বছর কার্যক্রম ও অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ফেডারেশনগুলোকে। অনেক ফেডারেশনের ঋণের বোঝাও টানতে হচ্ছে সরকারকে। তবে বিসিবি, বাফুফেসহ কিছু ফেডারেশনে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।