পেশাদার লিগ কমিটি অনেক দিন পর আজ শনিবার ক্লাব প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সভা করেছে। বাফুফে ভবনের সম্মেলন কক্ষে দেড় ঘণ্টার এই সভা থেকে ঘরোয়া ফুটবলের সূচি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে। কয়েকটি ক্লাবের দাবির প্রেক্ষিতে ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে ১১ অক্টোবর চ্যালেঞ্জ কাপ, ১৫ অক্টোবর ফেডারেশন কাপ ও ১৮ অক্টোবর লিগ শুরুর নতুন সময়ক্ষণ নির্ধারণ হয়েছে।
ঘরোয়া ফুটবলে নতুন সংযোজন চ্যালেঞ্জ কাপ। লিগ চ্যাম্পিয়ন ও ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নের লড়াই দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান স্পোর্টিং খেলবে এই কাপে। এর নামকরণ হচ্ছে জুলাই মাসে শহীদদের স্মরণে। লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান সভা শেষে বলেছেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই এই রীতি রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা চ্যালেঞ্জ কাপ করছি। এবার জুলাই মাসে শহীদদের স্মরণে এর নামকরণ হবে। এছাড়া ক্লাবগুলোর দাবির কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ ১১ অক্টোবর কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান এই কাপে অংশগ্রহণ করবে।
বাংলাদেশের কোনও ফুটবল ক্লাবের নিজস্ব আয় নেই। ফেডারেশন ক্লাবগুলোর প্রাইজমানি ও অংশগ্রহণ ফি দেয় না নিয়মিত। গত বছর ও পরবর্তী বছরে ক্লাবগুলোর অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রাইজমানি ও অংশগ্রহণ ফি ক্লাবগুলো পাবেই, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই বা ক্লাবের সুনির্দিষ্ট অধিকার নেই। ক্লাবগুলো ফুটবল উন্নয়ন ও প্রসারে কাজ করছে। অবশ্যই তাদের কিছু দেওয়া উচিত ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। আমরা এবার কয়েকটি স্পন্সরের সঙ্গে আলোচনা করছি। স্পন্সরশিপ পেলে সেখান থেকে ক্লাবেরা নির্দিষ্ট আর্থিক সহায়তা পাবে। কত পাবে, তা বলতে চাই না।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলমান। তাই ক্লাবগুলোর ভেন্যু নিয়ে সংকট রয়েছে। ভেন্যু নিয়ে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘কিংস অ্যারেনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ ভেন্যু এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। কিংস অ্যারেনা বসুন্ধরা কিংস ও ফর্টিস ব্যবহার করবে। অন্য ভেন্যুগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনুমতি যে ক্লাব পাবে তারা সংশ্লিষ্ট ভেন্যু ব্যবহার করবে। দুইয়ের অধিক হলে সেক্ষেত্রে আমরা সর্বশেষ লিগের স্ট্যান্ডিং অনুযায়ী দুটি নির্বাচন করবো। ভেন্যু নিয়ে বাফুফেও কাজ করছে।’
ক্লাবগুলোর দাবি ছিল, ছয় সপ্তাহ পেছানোর। সেখানে এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। নতুন সূচি মেনে নিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ছয় সপ্তাহের প্রস্তুতি। এক সপ্তাহ পেছানোয় এই সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।