এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে দুর্বার রাজশাহী। খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধ না করা, চেক বাউন্সসহ নানা অনিয়মে বিপিএলের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের পাওনা পরিশোধ করতেই হবে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিপিএল ২০২৫-কে ঘিরে বিসিবি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলেও, দুর্বার রাজশাহী একের পর এক চুক্তি লঙ্ঘন করে টুর্নামেন্ট তথা দেশের সম্মান প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে এসব অভিযোগ প্রকাশ পেলে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দলটির মালিক শফিকুর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবে, ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫০ শতাংশ পরিশোধের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি, বরং নতুন নতুন অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে, বিষয়টি আরো গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়। এমনকি মালিকের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছিল, যা সরকারের হস্তক্ষেপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অবশেষে, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে মালিক শফিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে তিনি তার দোষ স্বীকার করে নিয়ে ২৫ শতাংশ করে তিন দফায় ৩, ৭ ও ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও আশ্বস্ত করেন যে, প্রতিটি কিস্তিতে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলেই অর্থ বুঝে পাবেন। অন্যথায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও, বিপিএলে নানা অনিয়ম তদন্তে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি কাজ করছে, যা ভবিষ্যতে এমন সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।