বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের কাছে সিরিজ হার। বাংলাদেশের সমর্থকদের স্বপ্ন সেখানেই অর্ধেক মরে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল, সেটি বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে। বাকি ছিল কেবল ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ।
শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ কতটা লড়াই করতে পারে, সেটি ছিল দেখার। পারেনি। বোলাররা কোনোমতে উৎড়ে গেলেও ব্যাটাররা আরও একবার হতাশ করেছেন। ভারতের ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬০ রানের বড় ব্যবধানেই হেরেছে টাইগাররা।
দলের টপঅর্ডার যদি বারবার ব্যর্থ হয়, তবে দল দাঁড়াবে কী করে? সৌম্য সরকার, লিটন দাস আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত-দলের খাতায় ১০ রান উঠতেই সাজঘরে ফেরেন তিন টপঅর্ডার। এর মধ্যে দুজন আবার করেন শূন্য-সৌম্য আর শান্ত।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ২৭ রান। সেখানেই আসলে ম্যাচটা শেষ। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে লড়লেও বড় হার এড়াতে পারেনি টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘বোলাররা দারুণ করেছে। যেভাবে শরিফুল এবং রিশাদ বল করেছে, আমি খুব খুশি। আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। আশা করি টুর্নামেন্টে গিয়ে আমরা ভালো করব।’
বিশ্বকাপের আগে এতগুলো ব্যর্থতা। মূল মঞ্চে আসলেই কী আশা করা যায়? শান্ত অবশ্য আগে কী হয়েছে, সেটি ভাবতেই চান না।
তার কথা, ‘আগে কী হয়েছে, সেসব নিয়ে ভাবছি না আমরা। জানি আমরা কতটা সক্ষম। আমাদের সাহসী হতে হবে, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন দলের সেরা দুই পেসার তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমান। শান্ত মনে করেন, তারা ফিরলে ভিন্ন কিছু হবে।
বাংলাদেশ অধিনায়কের কথা, ‘তাসকিন আর ফিজ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন তারা ফিরবে, তখন খেলাটা অন্যরকম হবে। সবাই প্রথম ম্যাচ নিয়ে খুব রোমাঞ্চিত, আমাদের শান্ত থাকতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।