যুব পর্যায়ের পার্টনার তানজিদ হাসান তামিম এরই মধ্যে জাতীয় দলে বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সবশেষ ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলে নিজের জায়গাটা পাকা করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তবে পারভেজ হোসেন ইমন জাতীয় দলের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেলেও করতে পারেননি কিছুই। অবশ্য এবারের ডিপিএলে নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন ইমন। রীতিমতো রানবন্যা বইয়ে দিচ্ছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণ ওপেনার।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলটার খেলোয়াড়দের মধ্যে পারভেজ হোসেন ইমনের নামটাই জাতীয় দলে ঢোকার লড়াইয়ে সবার আগে শোনা গিয়েছিল। ২০২০ সালে বিপিএলে মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। পরের বছরেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকও হয়ে যায় তার। কিন্তু বিধি বাম! বাজে পারফরম্যান্সে সেই যে দল থেকে বাদ পড়লেন, এরপর থেকেই আলোচনার বাইরেই ছিলেন ইমন।
তবে আলোচনায় ফিরেছেন ইমন। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংকের জার্সিতে রানের তুবড়ি ছুটিয়ে ফের আলোচনায় এসেছেন ২১ বছর বয়সী ওপেনার। আজ বুধবার (২৭ মার্চ) মোহামেডানের বিপক্ষে ফের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইমন। যা চলতি ডিপিএলে ছয় ম্যাচে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। বাকি তিন ইনিংসের মধ্যেও আছে একটি হাফ সেঞ্চুরি।
এবারের ডিপিএলে প্রাইম ব্যাংকের প্রথম ম্যাচ ছিল শাইনপুকুরের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে মাত্র ৭ রান করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। তবে ব্রাদার্সের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই ১২৯ বলে ১৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ৯ চার ও ৮ ছক্কায় খেলা এই ইনিংসটাই লিস্ট এ ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ার সেরা।
পরের ম্যাচেই ফের সেঞ্চুরি হাঁকান ইমন। এবার সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ১১৪ বলে খেলেন ১০০ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচেও হাঁকান ৫টি ছক্কা। এরপরের দুই ম্যাচে অবশ্য সেঞ্চুরি পাননি আর। তবে প্রথমটিতে ৭৫ বলে খেলেছেন ৫০ রানের ইনিংস। আর পরেরটিতে করেন ১৩ রান।
মোহামেডানের বিপক্ষে আজ ফের সেঞ্চুরির ধারায় ফিরলেন ইমন। ঠিক ১০০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৪৩তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ১১১ বলে করেন ১১০ রান। এই ইনিংসে ৬টি করে চার ও ছক্কা হারিয়েছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো ৩ ম্যাচে ইমনের ছক্কার সংখ্যা ১৯টি, যা তার সহজাত ছক্কা মারার ক্ষমতারই প্রমাণ। স্ট্রাইকরেটও যথেষ্ট ভালো। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সম্ভাবনাময় হলেও ইমন সর্বশেষ বিপিএল কাটিয়েছেন বলতে গেলে দর্শকের ভূমিকায়। খুলনা টাইগার্সের হয়ে গোটা আসরে মাত্র ৪টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে দুটিতে খেলেছেন ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।
অবশ্য ইমন হতভাগা ভাবতেই পারেন নিজেকে। জাতীয় দলের আশেপাশে দীর্ঘদিন ঘুরঘুর করেও ঠিক খেলা হয়ে উঠছে না তার। সুযোগ যখন এলো, মাত্র ১ ম্যাচ খেলেই বাদ পড়লেন। কখনো বা ডাক পেয়েও বাদ পড়েছেন চোট পেয়ে। তবে এবারের ডিপিএল ফের কপাল খুলে দিতে পারে তার। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেট নতুন বলে লিটন দাসের ধারাবাহিক ব্যর্থতা তার সামনে দুয়ার খুলে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনিং জুটিকে দেখা যেতে পারে জাতীয় দলের হয়েও ওপেন করতে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।