বিসিএলে রানার্সআপ হয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে উত্তীর্ণ হয়েছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাদের সঙ্গী ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাব। প্রিমিয়ার লিগেও দল গড়বে বলে জানিয়েছেন ক্লাব সংশ্লিষ্টরা। তবে দল না গড়লে তিন বছরের জন্য ক্লাবগুলোর ওপর নিষেজ্ঞা জারি করা হবে বলে জানান বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান।
দেশের পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ। এবারের আসরের শিরোপার উঠেছে ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবের হাতে। তবে, রানার্সআপ হলেও আনন্দটা বেশি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের। কেননা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে উত্তীর্ণ হয়েছে ক্লাবটি।
প্রতিবছর বিসিএল থেকে দুটি করে দল প্রিমিয়ার লিগ খেলার সুযোগ পেলেও, দল গঠন করে না ক্লাবগুলো। এর আগের আসরের রানার্সআপ হওয়া গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব যার বড় উদাহরণ। অতীতে ফকিরেরপুলেরও রয়েছে এই লজ্জার ইতিহাস। তবে, এবার এই ঘটনা ঘটালে পড়তে হবে বড় শাস্তির মুখে।
বাফুফে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান বলেন, ‘স্মরণকালের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে এবার। গত দুয়েক বছরে একটা ট্র্যাডিশনে পরিণত হয়েছে যে, উপরের লিগে উঠে পরবর্তীতে আর না খেলা। আপনারা জানেন যে, এ কারণেই আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। কোনো দল যদি নাম প্রত্যাহার করে, তবে সে সমস্ত দলকে পরবর্তী তিন বা চার বছরের জন্য আমরা লাইসেন্স দেয়া থেকে বিরত থাকব। এটা তাদের জন্য কড়া শাস্তি বলে আমি মনে করি।’
ফকিরেরপুল-ওয়ান্ডারার্স, দুই ক্লাবেই ক্যাসিনো কান্ডে জড়িয়ে এখনো খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় তারা প্রিমিয়ার লিগে দল গড়বে কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও ক্লাব কর্তারা চান টিম করতে, সহযোগীতা চান বাফুফের। আর প্রিমিয়ার লিগে খেলতে ফুটবলারও বেশি উচ্ছ্বসিত।
ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাখন বলেন, ‘খুবই খারাপ অবস্থা থেকে আজকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। মাদের বাজেটও খুব কম ছিল। ক্যাসিনো কাণ্ডের পর সহযোগিতার হাত অনেকেই বাড়ায়নি। বিগত অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলিনি, এই দুর্নাম তো আছেই। ওই দুর্নাম ঘুচানোর জন্য একবার হলেও আমরা লিগে খেলতে আগ্রহী। সবচেয়ে বড় হচ্ছে অর্থনৈতিক দিকটা প্রিমিয়ার লিগে ন্যুনতম বাজেটি লাগে কমপক্ষে ৫-৬ কোটি। খুব ব্যয়বহুল।
ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অধিনায়ক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মূল লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগে দীর্ঘ সময় টিকে থাকাটা। এই জন্য টিমটা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা দীর্ঘদিন টিকে থাকব।’
১২ গোল করে এবারের আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সঙ্গে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ফকিরেরপুলে রাফায়েল টুডু, সেরা গোলকিপারও হয়েছেন এই ক্লাবের সাজু আহমেদ। এছাড়া ফেয়ার প্লে দল হয়েছে বাফুফে এলিট ফুটবল একাডেমি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।