বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) ২০২৩-২৫ চক্র বাংলাদেশ শেষ করেছে সপ্তম স্থানে। আর এই অবস্থানের জন্য আইসিসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রাইজমানি পেতে যাচ্ছে ৭২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগামী ১১ জুন লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামতে যাওয়া এবারের চক্রের জন্য বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেয় আইসিসি।
আগের দুই চক্রের চেয়ে এই চক্রে নিজেদের সেরা নৈপুণ্য দেখাতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। ঘরে-বাইরে মিলিয়ে ১২ টেস্টের ৪টিতে পায় জয়ের দেখা। এর মধ্যে ঘরে জেতে মাত্র একটি টেস্ট আর বিদেশের মাটিতে তিনটি। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে দুই ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের সঙ্গে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আরও একটি টেস্ট জেতে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম দুই চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশের জয় ছিল মাত্র একটি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই স্মরণীয় টেস্ট জয়। ২০১৯-২১ চক্রে তো একেবারেই জয়শূন্য ছিল বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটকে ফের গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতেই অর্থ পুরস্কারের অঙ্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘আমরা একটি রোমাঞ্চকর চক্র দেখেছি, যেখানে ফাইনালের দল নির্ধারিত হয়েছে একেবারে শেষদিকে। এই প্রতিযোগিতা বিভিন্ন দলের অসাধারণ নৈপুণ্য তুলে ধরেছে, আর ফাইনালে দেখা যাবে দুই দারুণ স্কোয়াডকে—এটাই তো ক্রিকেটের এক নিখাদ উৎসব।’ এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী দল পাবে ৩.৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের যেকোনো আসরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। রানারআপ দলের হাতে উঠবে অন্তত ২.১ মিলিয়ন ডলার। ২০২১ ও ২০২৩ সালের ফাইনালিস্টরা পেয়েছিল যথাক্রমে ১.৬ ও ০.৮ মিলিয়ন ডলার করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।