ঢাকাSaturday , 31 May 2025
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

গত কয়েক মাসে বিসিবিতে কাজ করার পরিস্থিতি ছিল না: ফাহিম

BDKL DESK
May 31, 2025 6:50 pm
Link Copied!

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে বিসিবির সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সদ্য সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে অপসারণের পরপরই চেয়ারে বসেছেন তিনি। নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরনো সভাপতির আমলের জটিলতাগুলো তুলে ধরেছেন গতকাল (৩০ মে) সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত হওয়া ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রস্তাবে রাজি হয়ে শুরুতে দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হয়তো এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না ফারুককে। কারণ পদ ছাড়ায় অস্বীকৃতি জানানোর পরপরই দুটো বড় ধাক্কা খান সাবেক এই অধিনায়ক। একই দিনে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিসিবির ৮ পরিচালক। বিপিএলে অনিয়মের তদন্তেও তিনি দোষী প্রমাণিত হন। ফলে এনএসসির জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়।

দুই বড় অভিযোগে বৃহস্পতিবার ফারুকের পরিচালক মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় এনএসসি। এই মনোনয়ন বাতিলের মানে বিসিবির সভাপতি পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হারিয়ে ফেলা। কারণ সভাপতি হতে হলে অবশ্যই পরিচালক পদ থাকতে হবে। একই দিন কাউন্সিলর মনোনয়ন পান বুলবুল। পরের দিন তাকে পরিচালক করে এনএসসি। আর সেদিনই বিসিবিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকদের ভোটে বুলবুল নির্বাচিত হন সভাপতি।

বিসিবিতে আগের সভাপতি ফারুকের সময়কাল ছিল ৯ মাস। দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটাঙ্গনেও এই ৯ মাস ছিল বেশ ঘটনাবহুল। তবে মাত্র ৯ মাসেই বেশকিছু কর্মকাণ্ডে বেশ সমালোচিত ফারুক৷ আর্থিক দুর্নীতির মতো ভয়াবহ অভিযোগ তো আছেই, বোর্ডের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও তার সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয় ছিল। ৮ জনের অনাস্থা প্রস্তাব নিঃসন্দেহে সেই বার্তাই দেয়। ফারুকের অপসারণের পর তখনকার সময়ের ঘাটতিগুলোর কথা এবার তুলে ধরেছেন বিসিবির নব নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

বাংলাদেশের পাকিস্তান সিরিজের জন্য বর্তমানে সে দেশেই আছেন ফাহিম। সেখান থেকেই আজ (৩১ মে) বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফাহিম বলেন, ‘(ফারুকের সময়কালে) সবচেয়ে বড় ঘাটতি যদি বলি, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে ব্যাপারটা… সেই জায়গাটায় ঘাটতি ছিল। আমরা হয়তো আরও অনেক ব্যাপারে এগিয়ে যেতে পারতাম, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, দ্রুত অনেক কাজ করতে পারতাম… একটা পর্যায়ে গিয়ে তো সবকিছু থমকেই গিয়েছিল এবং খুব বেশি কাজ আগায়নি।’

দেশের ক্রিকেটের জন্য বর্তমানে সময়টা তেমন ভালো কাটছে না। বিসিবিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তো আছেই, মাঠের ক্রিকেটেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের পারফরম্যান্স একেবারে শোচনীয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পর পাকিস্তানে দুই ম্যাচে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। অনেকের মতে, এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে অন্ধকারতম অধ্যায়ের একটি। তবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের রাস্তা আছে বলে মনে করেন ফাহিম।

ফাহিম বলেলন, ‘আমরা যদি একটু উন্নতির চেষ্টা করি… আরেকটু ভালো মাঠ এবং উইকেট, দুইটা বেশি মাঠ, কোচ যারা আছেন তাদের আরও শিক্ষিত করা, সরঞ্জাম দেওয়া… ভালো একটা প্রোগ্রাম চালানো এবং সেটা দেখভাল করা। জবাবদিহিতা থাকতে হবে কোচ, খেলোয়াড় এবং প্রোগ্রামের দায়িত্বে যে আছে তাদের প্রত্যেকের। আজকে বাংলাদেশ দল যা খেলছে, আমি জানি কারো মনপুঃত হচ্ছে না। এই দায়টা তো আমাদের নিতেই হবে৷ তাই জবাবদিহির জায়গাটা তৈরি করতে হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।