‘ভিএআর’ প্রযুক্তি ফুটবলে আসার পর থেকেই এটা নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান করছে বিভিন্ন ফুটবলার থেকে কোচ সবাই। কারোর কাছে এটা ফুটবলের জন্য দরকারি কারোর কাছে এটি ফুটবলের সৌন্দর্য নষ্টের সামিল।
ইউরোর সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ভিএআর এর সাহায্যে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড আর তাতেই সমতায় ফেরে তারা। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকায় ভিএআর এ দেওয়া সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক এবং এটি খেলার সৌন্দর্য নষ্ট করছে বলে জানান নেদারল্যান্ডস কোচ রোনাল্ড কোয়েম্যান।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে হ্যারি কেইন গোলমুখে শট নিলে সেটি উপর দিয়ে চলে যায়। তবে শট নেওয়ার পর কেইনের পায়ে বুট দিয়ে মারেন ডাচ ডিফেন্ডার ডামফ্রিস। রেফারি ফাউলের সিদ্ধান্ত না দিলেও ভিএআর এর মাধ্যমে সেটিকে পরে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। ফুটবল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাংবাদিক ও কর্তা ব্যক্তিদের চোখেও এটি পেনাল্টির মত ফাউল ছিল না।
রোনাল্ড কোয়েম্যান সেই সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করে বলেন, ‘এটা কোনদিনই পেনাল্টি ছিল না। তার উদ্দেশ্যই ছিল বলটিকে ব্লক করা। কেইন শট করার পর তার পায়ে আঘাত লাগছে। ভিএআর এর এমন সিদ্ধান্ত ফুটবলের সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। ইংল্যান্ডে হলে এটি কোনদিনই পেনাল্টি দিত না। একজন ডিফেন্ডার কি করবে? আমার কাছে মনে হয়েছে রেফারি অনেক ছোট ছোট ফাউলেও অযথাই বাঁশি বাজিয়েছে নাহলে আমরা হারতাম না।”
টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও এই দলটির ভালো সম্ভাবনা দেখছেন সাবেক এই বার্সা কোচ। “এই দলটার ভবিষ্যৎ বেশ ভালো। সাধারণভাবে বললে আমি খুব গর্বিত এই দল নিয়ে। তারা যেভাবে দলের জন্য সব করে গেছে তাতে আমি মুগ্ধ। আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম ইংল্যান্ডের সাথে কিন্তু ইংল্যান্ড মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় আমাদের কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমরা পরে ভালো খেলেছিলাম কিন্তু তারা ৯০ মিনিটে শেষ করে দেয় আমাদের গোল দিয়ে। ঐ সময়ে আর ফেরার সুযোগ থাকে না।”
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।