দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এমপি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পাপনকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয় সরকার।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে প্রথম কার্যদিবসে অফিস করেছেন নবনিযুক্ত যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। বিকেল ৩টার পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনে আসেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর দিকে এনএসসি টাওয়ারের নিচে তখন ক্রীড়াঙ্গনের শত শত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক অপেক্ষমাণ। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, সাঁতার, শ্যুটিং, টেবিল টেনিস, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, অ্যাথলেটিক্স, টেনিস, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ও প্রচার মাধ্যমের সদস্যদের যেন এক মিলনমেলা সেখানে দেখা গেলো।
কে ছিলেন না সেখানে! ক্রিকেটার আকরাম খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন, বোর্ডের সিনিয়র পরিচালক মাহবুব আনাম, জালাল ইউনুস, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বাফুফের ইলিয়াস হোসেন ও মহিউদ্দীন আহমেদ মহি, হকি ফেডারেশন সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ, আব্দুর রশিদ শিকদার ও মাহবুব এহসান রানা, বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংগঠন পরিষদের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা সিরাজউদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর, তরফদার রুহুল আমিন, এম বি সাইফসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরের লোকজনের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হওয়ার পর পাপন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ৪০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নর জবাব দেন।
তবে পাপনের আগেও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিসিবি সভাপতির পদে ছিলেন আরও তিনজন। তারা হলেন লে. কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী ও আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু তারা কেউ ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন না। এক্ষেত্রে পাপনই ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো বিসিসি সভাপতির পদে আছেন এবং কাজ শুরু করেছেন।
দুই গুরু দায়িত্ব সামলাতে পাপনের নিজের কাছে কেমন লাগে? তিনি নিজে বিব্রত বোধ করেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন সরাসরি বলেননি যে, তিনি বিব্রত বোধ করছেন।
তবে পাপন যা জানিয়েছেন তার সারমর্ম হলো তিনিও চাচ্ছেন না বিসিবি প্রধানের পাশাপাশি ক্রীড়ামন্ত্রী থাকতে। পাপন বলেন, ‘আমি খুব শিগগির ছেড়ে দিতে চাচ্ছি।’
পাপন আরও বলেন, ‘আমি ছাড়তে চাইলেই তো আর হবে না। বিসিবির সভাপতি হিসেবে আমি আইসিসির (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল) তিনটি কমিটিতে আছি। একটি কমিটির চেয়ারম্যানও। এখন আমি বোর্ড সভাপতির পদ ছেড়ে দিলাম। কিন্তু আমার বদলে যিনি নতুন সভাপতি হবেন, তিনি আইসিসির ওই পদে বিবেচিত হবেন না। আইসিসির সভায় যোগ দিতে পারবেন না, সেটাই বা কেমন দেখাবে?’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।