সাকিবতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলেছেন; কিন্তু তামিম মাঠে নেই দীর্ঘকদিন। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব করলে প্রায় ৪ মাস (সর্বশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর) পর আজ শনিবার শেরে বাংলায় মাঠে নামলেন তামিম ইকবাল।
রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে নিজের ফেরার অভিজ্ঞতা বর্ণণা করেন তামিম। তিনি মনে করেন, নিজের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। কারণ, মাঝে প্রায় ৪ মাসের মধ্যে দুই থেকে আড়াই মাস ক্রিকেটের সাথেই ছিলেন না তিনি।
তাই মুখে একথা, ‘এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং আমার কাছে। কারণ, তিন-সাড়ে তিন মাস পর কম্পিটিটিভ ক্রিকেট খেলা। এর মাঝখানে সত্যি কথা বলতে আমি দুই-আড়াই মাস কোনো ট্রেনিংই করিনি। শেষ দুই সপ্তাহ যা করেছি, যতই ম্যাচ খেলেন না কেন নার্ভাসনেস তো থাকবেই। তবে আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে যে শুরুটা প্রয়োজন ছিল সেটা হয়েছে।’
দল জিতেছে। তিনি নিজেও ৩৫ রানের এক আত্মবিশ্বাসী ইনিংস খেলেছেন। তামিম নিজে কতটা সন্তুষ্ট এই ইনিংস খেলে? সে প্রশ্নের জবাবে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘আর্লি বাউন্ডারি পাওয়াতে আমার জন্য কাজটা সহজ হয়ে গেছে। তবে অনুশীলনেও আমি ভালো ব্যাটিং করেছি। পিকেএসপিতে যে দুটো ম্যাচ সিনারিওতে খেলেছি সেটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তারপরও নার্ভ তো থাকেই। তবে যখনই আপনি শুরুতে বাউন্ডারি পাবেন সেটা তখন একটু কমে আসে।’
‘ভালো তো অবশ্যই লাগবে, তবে পুরো টুর্নামেন্ট কেমন খেলবো সেটা তো এই ইনিংস ডিফাইন করবে না। ডিফাইন করবে যখন অন্য ধরণের চ্যালেঞ্জ আসবে, তখন আমি কিভাবে সেগুলো সামলাই। তবে এটা ভালো শুরু, আমি খুশি।’
তামিমের অনুভব, তিনি যে বলে যে শট খেলে আউট হয়েছেন, সেটার দরকার ছিল না। তাই বলেছেন, ‘আমি যদি বল পিছু রানও করতাম, তাহলেও হয়ত ২ ওভার আগে খেলা শেষ হতো।’
পাশাপাশি তামিম মনে করেন, ‘মিরাজ আর মুশফিকুর রহিমও অপ্রয়োজনীয় শট খেলেছেন। ওই মুহূর্তে ওই ধরনের শটের দরকার ছিল না। এগুলোর কারণেই খেলা লম্বা হয়েছে তবে খেলাটা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।