পুরো সিরিজে বাজে ফর্মে থাকা লিটন দাস চমক দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ভর করেই লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে বধ হয়েছে ইংলিশরা। ম্যাচশেষে তাই সেরার পুরস্কার জিতেছেন এ ব্যাটার।
প্রথমবার দুই টি-টোয়েন্টির পর মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সিরিজের শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়দের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলেন লিটন। ৫৭ বল মোকাবিলায় ১০ চার ও এক ছক্কার মারে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭৩ রানে। এর আগে টাইগার ওপেনারের সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংসটি ছিল গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে।
ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি হাঁকানোর ম্যাচে ওপেনিংয়ে রনি তালুকদারের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে মিরপুরের মন্থর পিচেও ১৫৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে ইংলিশদের ইনিংস থামে ১৪২ রানে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলের ব্যাটাররা যেখানে ভুগেছে সেখানে এমন একটি দুর্দান্ত ইনিংসের পর তাই স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন লিটন। পুরস্কার গ্রহণের সময় লিটন তার ব্যাটিং নিয়ে বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার অনেক খুশি। উইকেটটা প্রথমে চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিশেষ করে বোলাররা যখন নতুন বল নিয়ে শুরু করেছিল। উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল। তবে রনি (তালুকদার) পাওয়ার প্লেতে এবং তার পরে (নাজমুল) শান্ত যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে সকল চাপ সরে গেছে।’
এর আগে ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম তিন ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে একেবারে ব্যর্থ ছিলেন লিটন। দুই ইনিংসে ডাক আর অন্যটিতে আসে মাত্র ৭ রান। তার ফর্ম খরা কাটেনি প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেও। প্রথম ম্যাচে ১২ করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হন মাত্র ৯ রানে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।