শুরুটা হয় রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাটে। গিল পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর ব্যাটে হাতে আলো ছড়ান বিরাট কোহলি, সেঞ্চুর হাঁকিয়ে গড়েন রেকর্ডও।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শতকের দেখা পান শ্রেয়াস আইয়ারও। তাদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে চারশ কাছাকাছি সংগ্রহ পায় ভারত।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৩৯৭ রান।
আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের উড়ন্ত শুরুর পর রোহিত যখন ফিফটির তিন রান দূরে, ঠিক তখনই বিদায় নিতে হয় তাকে। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টিম সাউথির স্লোয়ার উড়িয়ে মারেন ভারতীয় অধিনায়ক। মিড অফে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তাকে বিদায় করেন কেন উইলিয়ামসন। ২৯ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ রান করে নেন বিদায়।
রোহিতের বিদায়ের পর দলকে টেনেছেন শুভমান গিল। সেঞ্চুরির পথে এগোলেও শেষ পর্যন্ত ইনজুরির কারণে পারলেন না, ছাড়তে হয়েছে মাঠ। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে নিজের ৬৫ বলে ৭৯ ইনিংসটি সাজান ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। তবে লড়াই চালিয়ে যান কোহলি। ৫৯ বলে তুলে নেন ৭২তম ওয়ানডে ফিফটি, বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে যেটি প্রথম।
৮০তম রান নেওয়ার সময় তিনি ছাড়িয়ে যান শচীন টেন্ডুলকারকে। ২০০৩ সালের আসরে ১১ ইনিংসে ৬৭৩ রান করেছিলেন টেন্ডুলকার। ২০ বছর পর এক ইনিংস কম খেলেই তাকে টপকে গেলেন কোহলি। এরপর ১০৬ বলে পান সেঞ্চুরির দেখা। একইসঙ্গে শচীনকে তিনি ছাড়িয়ে যান আবারও। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০টি শতক এখন কেবল তার দখলে।
১২৮ বলে ১৬৩ রানের জুটি গড়ার পর সাউথির বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় নেন কোহলি। ১১৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১১৭ রানের ইনিংস খেলে তিনি ফেরেন সাজঘরে। তবে লড়াই চালিয়ে যান শ্রেয়াস। মাত্র ৩৫ বলে প্রথম ফিফটি ছুঁয়ে পরের ফিফটি পূর্ণ করেন ৩২ বলে। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর আর ৫ রান যোগ করে তিনি বিদায় নেন বোল্টের বলে।
শেষদিকে আবারও ব্যাট করতে নেমেন ইনজুরিতে মাঠ ছাড়া গিল। তবে এই যাত্রায় তার ব্যাট থেকে আসে কেবল এক রান। আর লোকেশ রাহুলের ২০ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।