বিসিবির নতুন সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মুখে উঠে এলো প্রাক্তন তারকাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার গল্প। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, সেই মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার নতুন ভূমিকায় নিজেদেরকে তৈরির স্বপ্ন দেখছেন। দুজনেই হতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোচ।
সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া মাহমুদউল্লাহ ও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া মুশফিকুর রহিম কোচিং ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবনিযুক্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
রবিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বুলবুল বলেন, ‘আমার সঙ্গে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ যোগাযোগ করেছে—বিসিবিতে আমি যোগ দেওয়ার আগেই। তারা আন্তর্জাতিক কোচ হতে চায়। আমরা এই এডুকেশন ট্রেইনিং প্রোগ্রামগুলো বিসিবির মাধ্যমে শুরু করতে চাই, যাতে আগ্রহীদের কাঙ্ক্ষিত পথে এগিয়ে নেওয়া যায়।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে যুক্ত হওয়া তারকাদের তালিকা বেশ লম্বা। খালেদ মাহমুদ সুজন থেকে শুরু করে রাজিন সালেহ, তালহা জুবায়ের, হান্নান সরকার, এমনকি মোহাম্মদ আশরাফুল পর্যন্ত কোচিংয়ের বিভিন্ন স্তরে ইতোমধ্যেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন।
হান্নান সরকার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। আশরাফুল তো সম্প্রতি রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিং কোচ হিসেবে গ্লোবাল সুপার লিগের শিরোপাও জিতেছেন। ফলে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ও পেশাদার ক্রিকেটারদের কোচিংয়ে আসা নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেট কাঠামোর জন্য আশাব্যঞ্জক খবর।
এই ধারাবাহিকতায় আরও কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথা উঠে এসেছে বুলবুলের কণ্ঠে। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান ও হাবিবুল বাশারের মতো সাবেকরা যারা মাঠের ভেতরে-বাইরের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশের ক্রিকেটে এখনও প্রভাব রাখছেন, তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বুলবুল।
তিনি বলেন, ‘নান্নু ভাই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, আকরাম ভাই অন্যতম সেরা অধিনায়ক। লিপু ভাই, হাবিবুল বাশার—তারা তো কিংবদন্তি। তারা মাঠ, উইকেট, ড্রেসিংরুম—সবকিছুর চরিত্র জানেন। এই ধরনের সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্টদের অবশ্যই আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’
তবে বাস্তবতাও স্বীকার করতে ভুলেননি সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি যোগ করেন, ‘সব ভালো খেলোয়াড় ভালো কোচ বা সংগঠক হয় না। এটা বুঝেই আমাদের কাঠামো গড়তে হবে। সেই ব্যবস্থাগুলো আমরা করব।’
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হলে শুধু জাতীয় দল নয়, গোটা দেশের ক্রিকেট উন্নয়নই পেতে পারে নতুন গতি ও গঠনমূলক দিকনির্দেশনা। ভবিষ্যতের ক্রিকেটার তৈরিতে এটা হতে পারে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।