সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ আটেই থামলো টেবিল টেনিস দলের স্বপ্ন যাত্রা। শক্তিশালী ভারতের কাছে সরাসরি ৩-০ সেটে হেরে বিদায় নিলো হৃদয়-সাব্বিররা। পূর্ণ সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো করার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা।
ফিজি গায়ানাকে হারিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবেই শুরু হয় রিদয়-সাব্বিরদের। কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবারের মতো শেষ আটের মঞ্চে বাংলাদেশ। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে আর পেরে ওঠা হয়নি লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের। শক্তিশালী ভারতের কাছে ৩-০ সেটের অসহায় আত্মসমর্পণ। তারপরও কমনওয়েলথ গেমসের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ সাফল্য টেবিলে টেনিসের হাত ধরে।
টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মোহতাসিম আহমেদ হৃদয় বলেন, বাংলাদেশে আমরা যেমন ট্রেনিং নিয়েছি তার চেয়ে ভালো করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছি। এখান ভারতের সাথে খেলতে গিয়ে দেখলাম আমাদের বিরাট গ্যাপ আছে। এর কারণ হলো তারা বাইরে প্রচুর টুর্নামেন্ট খেলে আর তাদের ভালো কোচ আছে।
শ্যুটিং আর্চারি নেই এবারের আসরে। তবে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে টেবিল টেনিস। পদক প্রাপ্তি না থাকলেও ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাসের রসদ হয়ে থাকলো বার্মিংহাম আসর।
এনিয়ে টেবিল টেনিস ফেডারেশন সহ-সভাপতি খন্দকার হাসান মুনীর বলেন, হেরে যাওয়ার পর যেটা অনুভব করেছি সেটা হলো, আমাদের আরও অর্থের প্রয়োজন, ভালো কোচের প্রয়োজন। কারণ এক-দেড় বছর পরিশ্রম করে হেরে যাওয়ার পর খেলোয়াড়দের যে কষ্ট, সেটিই বড় কষ্ট।
এদিকে প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি সাঁতার ডিসিপ্লিনে। হিটেই বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশি দুই সাঁতারু সোনিয়া খাতুন ও আসিফ রেজা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।