১৭টি সোনা, ১১টি রুপো ও ১৪টি ব্রোঞ্জ। কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের সোনার দৌড় চলছেই। শুক্রবার ভারতের কনিষ্ঠতম শুটার হিসেবে সোনা জিতে নিলেন অনীশ ভানওয়ালা। ২৫ মিটার র়্যাপিড ফায়ার পিস্তল শুটিং-এ সোনা জিতেছেন তিনি। হরিয়ানার ১৫ বছরের অনীশের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে খুশি গোটা ভারত।
কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী ভারতীয় এই শুটার এ দিন বলেন, “অন্যান্য টুর্নামেন্টে ভাল ফল করার ফলে আমি আশা করেছিলাম কমনওয়েলথ-এও দেশের হয়ে পদক জিততে পারব। টুর্নামেন্টের নাম পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই, তবে ফলটা কিন্তু একই হল।”
তবে ভারতকে সোনা দেওয়ার দিনেও অনীশের মনে কিন্তু রয়েছে আরও একটা চিন্তা। সামনেই তাঁর অঙ্ক পরীক্ষা, তা নিয়েই চিন্তিত তিনি।
“এই সোনাই প্রমাণ, কেরিয়ারে ঠিক পথেই এগোচ্ছি আমি। গত বার কমনওয়েলথ গেমসে আমি রুপো জিতেছিলাম। এই বার সেই পদকের রং পরিবর্তন হয়ে সোনা হল। গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের জন্য প্রস্তুতিতেও খামতি রাখিনি আমি।” বজরং পুনিয়া
তবে অনীশই নন, এ দিন ভারতকে শুটিংয়ে সোনা এনে দেন প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তেজস্বিনী সাবন্ত। সাবন্তের পাশাপাশি ভারতকে শুটিংয়ে রুপো এনে দেন অঞ্জুম মুদগল।
কমনওয়েলথ গেমস ২০১৮: সোনার হ্যাটট্রিক সুশীলের
শুধু শুটিংয়েই নয় কুস্তিতেও এ দিন সোনা জেতে ভারত। ভারতকে কুস্তিতে সোনা এনে দেন বজরং পুনিয়া। ৬৫ কেজি বিভাগে সোনা জেতে বজরং। বজরংয়ের পাশাপাশি ৯৭ কেজি বিভাগে ভারতকে রুপো এনে দেন মৌসম খতরি এবং ৫৭ কেজি বিভাগে রুপো জেতেন পূজা ধান্ডা। অন্য দিকে, কেরিয়ারের প্রথম কমনওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জ জেতেন অঞ্জুম মুদগিল।
কুস্তিতে সোনা জয়ী পুনিয়া বলেন, “এই সোনাই প্রমাণ, কেরিয়ারে ঠিক পথেই এগোচ্ছি আমি। গত বার কমনওয়েলথ গেমসে আমি রুপো জিতেছিলাম এই বার সেই পদকের রং পরিবর্তন হয়ে সোনা হল। গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের জন্য প্রস্তুতিতেও খামতি রাখিনি আমি।”
“অন্যান্য টুর্নামেন্টে ভাল ফল করার ফলে আমি আশা করেছিলাম এই টুর্নামেন্টেও দেশের হয়ে পদক জিততে পারব। টুর্নামেন্টের নাম পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই, তবে ফলটা কিন্তু একই হল।” অনীশ ভানওয়ালা
বজরং, মৌসমদেরল মতো সোনা বা রুপো জিততে না পারলেও ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দেন নমন তানওয়ার (৯১ কেজি বিভাগ), মহম্মদ হুসামুদ্দিন (৫৬ কেজি বিভাগ) এবং মনোজ কুমার (৬৯ কেজি বিভাগ)।
বক্সিংয়ে ক্রমাগত ভারতীয় বক্সারদের দাপট দেখে ভারতীয় বক্সিংয়ের হাই পারফরম্যান্স ডিরেক্টর সান্তিয়াগো নিভা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। আমি জানি আসন্ন বক্সিংয়ের অন্যান্য বিভাগেও আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, তবে আমি নিশ্চিত যারা আছে তাঁরা ভাল পারফর্ম করবে।”
শুধু কুস্তি বা শুটিং-ই নয়, গোল্ট কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে আগামী সময়েও অনেক পদক অপেক্ষা করছে বিভিন্ন ইভেন্ট থেকে। এখনই ভারতের ঝুলিতে আছে ১৭টি সোনা। এখন দেখার আগামী দিনে সেই পদক সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেন কি না কিদাম্বি শ্রীকান্ত, পিভি সিন্ধু এবং সাইনা নেহওয়ালরা!
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।