ঢাকাSaturday , 19 October 2024
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘কঠোর পরিশ্রম করো, ফলাফল আসবে’

BDKL DESK
October 19, 2024 10:19 pm
Link Copied!

গত ৮ বছরে বেশ কয়েকবারই কোচ হিসেবে ফিল সিমন্সের নাম সামনে এসেছিল। কিন্তু কোনোবারই তাকে চূড়ান্ত করেনি বিসিবি। অবশেষে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ড সিমন্সকে নিয়োগ দেয়। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপাজয়ী কোচ ছিলেন। কাজ করেছেন আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ের মতো দলের সঙ্গে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন তিনি। আজ শনিবার প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিমন্স বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাবসহ নিজের ফিলোসোফি নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন।

২০১৭ সালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিদায়ের পর বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন সিমন্স। বাংলাদেশে এসে ইন্টারভিউও দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেবার স্টিভ রোডসের কাছে হেরে যান। পরবর্তীতে রোডসের বিদায়ের পর ২০১৯ সালে ফের ইন্টারভিউ দেন। কিন্তু এবারও ফেল, রাসেল ডমিঙ্গো হন কোচ। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের বিদায়ের পর হাথুরুসিংহকে দ্বিতীয়বার নিয়োগের সময় সিমন্সের কথা ঘুরে ফিরে এসেছিলো। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ক্যারিবিয়ান কোচের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। ২০২২ সালে হাথুরুসিংহকে দ্বিতীয় দফায় কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি ছিল হাথুরুসিংহের। তবে চুক্তির আগেই বিসিবি তাকে বরখাস্ত করেছে। তার জায়গাতেই আগামী চার মাসের জন্য নিযোগ পেলেন সিমন্স।

আগের কয়েক দফায় প্রত্যাখাত হওয়ার পর এবার কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতি আগ্রহ ছিল খানিকটা বেশি। সিমন্সের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কতদিন আগে প্রস্তাব পেয়েছেন, কেমন অনুভূতি। তিনি বললেন, ‘আজ শনিবার? তাহলে দেড় সপ্তাহ আগে প্রস্তাব পেয়েছি। আগে চাকরি পাইনি, কীভাবে বলবো এখানে ভিন্নতা কতটুকু? দুর্ভাগ্যবশত তখন আমি চাকরিটা পাইনি।’

বিদেশি কোচদের জন্য বাংলাদেশে কাজ করা বরাবরই কঠিন। গত তিন কোচ তো নিজেদের মেয়াদই শেষ করতে পারেননি। ২০১৯ বিশ্বকাপ ব্যর্থ হওয়ার পর রোডসকে বিদায় করে দেয় বিসিবি। এরপর ডোমিঙ্গোকে নিয়োগ দিলেও পুরো মেয়াদ শেষ করতে পারেননি তিনিও। এবার হাথুরুসিংহেও পারলেন না। বাংলাদেশে কাজ করা তো বেশ চ্যালেঞ্জের। সিমন্স অবশ্য এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এসেছেন, ‘আন্তর্জাতিক কোচের প্রতিটি চাকরিই হট সিট। বাংলাদেশে কাজটা হয়তো কঠিন। আমার কাজ হলো ছেলেরা যাতে নিজের মতো খেলতে পারে, উপভোগ করে। খেলার জন্য তাদের প্রস্তুত করা। গত ২ দিন চমৎকার গিয়েছে।’

সিমন্স আরও বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের যথেষ্ট কোয়ালিটি আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা আমি দেখেছি। ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভালো যায়নি, তবে ভারত কিন্তু বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি দল এখন। এই অ্যাসাইনমেন্টটা আমি খুব উপভোগ করছি। আমি তরুণদের নিয়ে তিন ফরম্যাটের জন্যই কাজ করবো। তাই বাংলাদেশের কোচ হওয়ার সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল না।’

খুবই অল্প সময়ের জন্য কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিমন্স। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্তই তার সাথে চুক্তি করেছে বিসিবি। এই অল্প সময়ে নিজের পরিকল্পনা নিয়ে ক্যারিবিয়ান এই কোচ বলেছেন, ‘এই সিরিজের পর আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবো, সেখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফেব্রুয়ারিতে, এর আগে বিপিএল আছে। জানুয়ারিতে কী করবো, খেলোয়াড়দের নিয়ে কী পরিকল্পনা তা বসে ঠিক করতে হবে। বিপিএল ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মধ্যে কতটুকু সময় থাকে, তা দেখে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। ’

নিজের ফিলোসোফি নিয়ে বলতে গিয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘আমার ফিলোসোফি হলো কঠোর পরিশ্রম করো, ফলাফল আসবে। সবসময় পক্ষে না এলেও ফলাফল আসবে। গত কিছু দিন দেখেছি ওরা কঠোর পরিশ্রম করছে খেলা, স্কিল, ফিটনেস নিয়ে। আমি খুশি।’

চার মাস অল্প সময় হলেও এই সময়টাতে সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য স্থির করেছেন সিমন্স, ‘আমার জন্য ব্যাপারটা ভালো যে প্রস্তুতির শুরুটা হলো টেস্ট ম্যাচের জন্য। আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট। গত ২ দিন দারুণ কেটেছে। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি দলটিকে তৈরি করতে চাই। আফগানিস্তানে আমি কাজ করেছি, সেখানেও ভাষাগত সমস্যা ছিল। সেখানে তরুণ ক্রিকেটার গড়ে তোলা নিয়ে কাজ করেছি। সেসব অভিজ্ঞতা আমাকে এই অ্যাসাইনমেন্টে কাজে লাগাতে হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।