ঢাকাSaturday , 25 May 2024
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

এমন পারফরম্যান্স বেদনাদায়ক, দুঃখজনক, হতাশার: প্রধান নির্বাচক

BDKL DESK
May 25, 2024 6:09 pm
Link Copied!

আইসিসির সহযোগী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরাজিত বাংলাদেশ। বেসবলের দেশের ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ দলকে পাড়ার কোনও দল বানিয়ে ছেড়েছেন। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানের ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দুই ম্যাচেই টপ অর্ডার ব্যাটাররা হয়েছেন ব্যর্থ। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই দুশ্চিন্তায় ফেলছে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দেশের ক্রিকেটারদের এই পারফরম্যান্সকে বেদনাদায়ক, দুঃখজনক ও হতাশার বলছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর চারিদিকে সমালোচনার ঝড়। ক্রিকেট ভক্তরা কেউই এই হারকে মেনে নিতে পারছেন না। প্রধান নির্বাচকও ব্যতিক্রম নন। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গনমাধ্যমকে প্রধান নির্বাচক লিপু বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচে কেউ কি ভেবেছিলেন ৪ ওভারে ৫৫-৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারবে না? প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডার ব্যর্থ ছিল। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ)-হৃদয় ছাড়া কেউ রান করতে পারেনি, এ কারণে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন জায়গা। ২ দিন টর্নেডোর কারণে প্র্যাকটিসও করতে পারেনি। এছাড়া আগে থেকেই কিছু ব্যাটার ফর্মের বাইরে। চাপ তৈরি হয়েই যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে আতঙ্কিত পরিস্থিতির কারণে ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করলে ম্যাচটা সহজেই জিততে পারতাম। সিরিজ হার খুবই বেদনাদায়ক, দুঃখজনক, হতাশার। সঠিক সময়ে নিজেদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারাতেই এই ব্যর্থতা।’

দুই সপ্তাহ পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। খুব বেশি সময় হাতে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই হার বিশ্বকাপে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে এমন প্রশ্নে লিপু জানালেন নিজের দুশ্চিন্তার কথা, ‘বিশ্বকাপের মিশন তো এখনও শুরুই হয়নি। একটা সিরিজ খেলছি। বিশ্বকাপের আলোকেই দল ঘোষণা করেছি। বিস্তর চিন্তাভাবনা করেই দল দিয়েছি। ফর্মে সবাই নেই এটা দুঃখজনক। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও করতে পারছি না। হতাশাজনকই বলবো, দুটি ম্যাচেই জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম। প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের কারণে পিছিয়ে গেছি। শেষদিকে ওভারপ্রতি ১৫ রান করে লাগত। অন্যতম সেরা বোলাররা ছিল। টি-টোয়েন্টির নাটকীয়তায় আমরা পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২ উইকেট হারিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। শান্ত ও হৃদয় ব্যাট করছিল, জয়কে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৩ বল বাকি থাকতেই পরাজয়। নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার কারণ, হতাশার কারণ।’

কোনও কারণ ছাড়াই ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বকাপ দল পরিবর্তন করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ক্রিকেটারদের বাজে পারফরম্যান্সের পর দলে পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। লিপু স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, ‘না। এটা গৎবাঁধা একটা নিয়ম ছিল। বাড়তি সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রত্যেক দলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সে আলোকে ২৪ তারিখ দুবাই সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সুযোগ ছিল। প্রটোকল অনুযায়ী ক্যাপ্টেন, কোচ এবং আমরা নির্বাচকরা বসে কিছুক্ষণ আলাপ করেছিলাম। এ মুহূর্তে যে দল আছে, সে দলটাই রেখেছি। বিশ্বকাপে যাতে ভালো করতে পারি সেই আশা করছি। যে দল নির্বাচন করেছিলাম সেই দলের ওপরই আস্থা রাখছি।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাজে ক্রিকেট খেলেই যুক্তরাষ্ট্রে পা দিয়েছিল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েও পরিস্থিতি পাল্টায়নি দলের। দুই ম্যাচ হারের পর প্রশ্ন উঠেছে, সিরিজ না খেলে অনুশীলন ক্যাম্প করলেই বাংলাদেশের জন্য বেশি সুবিধা হতো কিনা। এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘প্র্যাকটিসও তো আমরা করতে পারিনি। আপনি জানেন ওখানে একটা টর্নেডো হয়েছিল। মাঠ প্রস্তুত ছিল না, যে কয়টা দিন হাতে সময় ছিল সে জায়গায় ঘাটতি হয়েছে। এর বেশি কিছু না। উইকেট দুই দলের জন্যই সমান, মানিয়ে নেওয়াই মুখ্য। পিচটা মন্থর, সবাই দেখছি। তবে এই উইকেটেই দুই দল ব্যাটিং বোলিং করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের পরও লিপু বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশকে নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন, ‘আমরা কেউ আশা করিনি দলটাকে এমন পরিস্থিতি দিয়ে সফর শুরু করতে হবে। তবে এটাই বাস্তবতা, এই সিরিজ শেষেও ১২ দিনের মতো সময় থাকবে। দ্রুত এই ফলাফল থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তারা জানে, বিশ্বকাপে দল ভালো করলে এই সিরিজ হার অতীত স্মৃতি হয়ে যাবে।’

লিপু আরও বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, যে কয়দিন ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবো, সঙ্গে দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ, সেখানে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার সুযোগ পাবো। আমার বিশ্বাস তারা (ক্রিকেটাররা) আস্থার জায়গা ফিরে পাবে। যদিও প্রতিপক্ষ ভারত, অনেক শক্তিশালী দল। তারপরও যে দুই ভেন্যুতে বিশ্বকাপ ম্যাচ আছে, সেখানেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ ইতিবাচক ব্যাপার হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।