মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৩ মে) এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন জাতীয় দলের পেসার এবাদত হোসেন এবং প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের তৃতীয় দিনের খেলা চলাকালীন সময়েই সাইড উইকেটে অনুশীলনের সময় এই বাগ্বিতণ্ডার সূত্রপাত হয়।
ইনজুরির কারণে সিরিজে বিশ্রামে থাকা এবাদত সেদিন অনুশীলন করতে সেন্টারের পাশের সাইড উইকেটে আসেন। অনুশীলনের সময় উইকেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এবাদতের দাবি, অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত উইকেট পাচ্ছেন না। বিষয়টি কিউরেটর গামিনিকে জানালে দুজনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়।
ঘটনার সময় কাছেই ছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পেস বোলিং কোচ নাজমুল হোসেন। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান,‘এটা ম্যাচ শুরুর আগের ঘটনা। অনুশীলনের সময় এবাদত গামিনিকে বলে ভালো উইকেট না দিলে বল করবো কীভাবে। গামিনিও পাল্টা কিছু বলে। পরে বিষয়টি এবাদত বোর্ডকে জানায়।’
নাজমুল আরও বলেন,‘গামিনি এবাদতকে বলে—তোমার কাজ করো, আমার কাজ নিয়ে কথা বলতে হবে না। এরপর সে হুমকিও দেয়, মাহবুব ভাইকে বলে নাকি এবাদতকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়ার ব্যবস্থা করবে। আমি তাকে আমার মতো করে বুঝিয়ে বলেছি।’
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর অনুশীলন বন্ধ রেখে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান এবাদত। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে সব জানান এবং ক্রিকেটারদের অনেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। তারা তৎক্ষণাত বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে গামিনি ডি সিলভা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে বিসিবি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয় গামিনির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগে থেকেই আছে। অভিযোগ আছে, তার সঙ্গে সহকর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা লেগেই থাকে। এমনকি সাবেক কিউরেটর অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনও নাকি তার কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার তিনি সরাসরি জড়ালেন একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সঙ্গে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।