ক্রিকেটে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিশ্চিত বলে কিছু নেই। জিম্বাবুয়ের এই দলটি আনকোরা উগান্ডার কাছে হেরেছে। আবার শ্রীলঙ্কার মত প্রতিষ্ঠিত দলকেও হারিয়েছে। কাজেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব ম্যাচ জিতবে, তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
তারপরও সাধারণ হিসেবে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদেরই ফেবারিট ধরা হচ্ছে এবং প্রথম ম্যাচে নিজেদের সেরা প্রমাণ দিয়েই অনায়াসে ৮ উইকেটে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শুক্রবার খেলার চালচিত্র যেমন ছিল, বাকি ৪ ম্যাচের চালচিত্রও যে তেমন থাকবে, জিম্বাবুইয়ানরা কোনো ম্যাচেই দাঁড়াতে পারবে না, এতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলতে পারবে না, তা ভাবাও ঠিক হবে না। প্রতিটি দিনই নতুন। প্রতিটি ম্যাচেই ভিন্ন।
কাজেই ৫ মে, রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচের চালচিত্রও যে প্রথম ম্যাচের মত হবে, তাও নয়। জিম্বাবুয়ে আবার মাঠে নেমে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসবে, সেটা ভাবাও ঠিক হবে না। জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন এবং তার বিশ্বাস, শুক্রবার চট্টগ্রামে যে অনুজ্জ্বল ও শ্রী-হীন ক্রিকেট খেলেছে জিম্বাবুয়ে, তারচেয়ে অনেক ভাল ও উজ্জ্বল ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য আছে তাদের।
সেটা আকাশ-কুসুম কল্পনা নয়। ইতিহাস জানাচ্ছে, এই সিকান্দার রাজার নিজেরই বাংলাদেশের বিপক্ষে স্মরণীয় সাফল্য আছে। একা ম্যাচ ভাগ্য গড়ে দেয়ার নজির আছে। পাশাপাশি শন অরভিনেরও বাংলাদেশের বিপক্ষে ট্র্যাক রেকর্ড বেশ ভাল। কাজেই জিম্বাবুয়েকে প্রথম দিন যত দুর্বল, জীর্ন-শীর্ন মনে হয়েছে, তারা তত কমজোরি না।
তবে প্রথম দিনই বোঝা গেছে, বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ও বোলিং ডিপার্টমেন্টে যারা নবীন, তারা অনেক বেশি সাহসী, আত্মবিশ্বাসী এবং নিজেদের মেলে ধরতে মুখিয়ে। ভাল করার তাগিদটা বেশি। তাদের আত্মনিবেদনটাও প্রচুর।
অভিষেক হওয়া তানজিদ তামিম, তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়, পেসার তাসকিন-সাইফ আর অফস্পিনার শেখ মেহদি নিজেকে মেলে ধরার তাগিদটা খুব বেশি করে চোখে পড়েছে। সেটাই দল হিসেবে বাংলাদেশের ভাল খেলার একটা বিশেষ কারণ।
সেই তাগিদটা যদি অটুট থাকে, সাফল্যের উদগ্র বাসনা এবং জয়ের দৃঢ় সংকল্প অটুট থাকলে বাংলাদেশের এই দলের সাথে জিম্বাবুয়ের পেরে ওঠা কঠিন হবে।
ওদিকে টিম বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প জানিয়ে দিয়েছেন, তারা প্রথম ম্যাচ জিতেই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন না। এমনকি এখনই হোয়াইটওয়াশের চিন্তায়ও ডুবে নেই টাইগাররা।
ডেভিড হেম্প বলেন, ‘যদিও আমরা সব সময় প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারি না। তাই সে সুযোগ আসলে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে অবশ্যই। তবে এ মুহূর্তে আমরা হোয়াইটওয়াশের চিন্তা না করে ম্যাচ বাই ম্যাচ যেতে চাচ্ছি।’
প্রথম দিনের পারফরমেন্সে খুশি হেম্প। তার চোখে শুরুটা ভাল হয়েছে এবং সেটা ধরে রেখে আরও কিভাবে ভাল করা যায় সে চেষ্টাই থাকবে। দেখা যাক রোববার রাতে শান্তর দল কী করে?
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।