সফলতম দল কুমিল্লা, সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি, সফলতম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান নেই। তাদের অভাবকে সঙ্গী করে শুরু হচ্ছে একাদশ আসর। দেখে নিতে চাই আগের দশ আসরকে।
নাম বদলের বিপিএল-এ ঢাকা একাই খেলেছে সাত নামে। এবারও নতুন দল। সিলেট ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়েছে। তিনবার বদল হয়েছে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহীর নাম।
বারো বছরের দশ আয়োজনে বিপিএল নিজের লোগো বদলেছে তিনবার। বাঘের গর্জন আর বঙ্গবন্ধুর ছবি হয়ে এখন লালের বারতা। তবে ঘুরেফিরে আট বিভাগ ও জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ টুর্নামেন্ট। যেখানে সফলতম দল কুমিল্লা। বিভাগ না হয়েও জায়গা পাওয়া দলটি চ্যাম্পিয়ন চারবার। ঢাকা তিনবার।
আর সফলতম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। চারবার হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। ২০১২তে তার আর ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের আধিপত্যে শুরু বিপিএল। প্রথম যখন এমন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল তখন আশার আলো জ্বেলেছিল বাংলাদেশ।
পরের বছরও তা ধরে রেখেছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও সাকিব। কিন্তু বেটিং-এর কালো থাবা ও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যুতে থমকে যায় সে যাত্রা।
দু’আসর পর দু’বছরের বিরতি। নতুন মোড়কে অংশগ্রহণ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। উত্থান নতুন চ্যাম্পিয়নের।
সিজন ফোরে ঢাকা তার পুরনো শ্রেষ্ঠত্ব দখলে নেয়। নতুন নাম ডায়নামাইটেসর হয়ে। পরের বছর আরেক নতুন চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। ক্রিস গেইল মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন ঢাকার মাঠে।
পরের চার আসরে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ঢাকা, বরিশাল, সিলেটকে হারিয়েছে ফাইনালে। দলগত ঐক্যের প্রমাণ দিয়েছে বারবার।
মাঝে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বিশেষ আয়োজনে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে হয় টুর্নামেন্ট। চ্যাম্পিয়ন সেখানে রাজশাহী রয়্যালস। এরপর করোনার থাবায় হারিয়ে যায় একটি বছর।
সবশেষ আসরে বরিশাল তার ফাইনাল হারের আক্ষেপ ঘোচায়। চারবারের চেষ্টায় তৃতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে ঘরে তোলে শিরোপা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।